সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছে লকডাউন।তার ফলে অকারণে বাড়ির বাইরে বেরনো প্রায় বন্ধ সকলের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বহু চিকিৎসকই অনলাইনে করলেন চিকিৎসা। তবে তা সত্ত্বেও ধরুন অস্ত্রোপচার কিংবা অন্য কোনও আচমকা প্রয়োজন অনেককেই হাসপাতালমুখী করছে। তবে তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে যথেষ্টই। একথা যেমন সত্যি তেমনই আবার রোগ হলে তো আর বাড়িতে বসে থাকা যায় না। তাই সেক্ষেত্রে যেতেই হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আপনার জন্য রইল টিপস।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই একাধিক হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে সাজিয়ে তোলা হয়। তবে তা সত্ত্বেও বহু হাসপাতালেই করোনা রোগীর খোঁজ মেলে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়তেই থাকে। এই পরিস্থিতি কোনও হাসপাতালে যাওয়ার আগে জেনে নিন সেখানে কোনও করোনা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে কি না। করোনা রোগীর চিকিৎসা হলে সেখানে যাওয়ার আগে বিশেষ সতর্কতামূলক পন্থা অবলম্বন করুন।
বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনও পরিষেবার ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থাপনার উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই আপনিও চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব অনলাইনেই সমস্ত কাজ সেরে নেওয়ার। যাতে সেই সমস্ত কাজ করার জন্য হাসপাতালে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করতে না হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগ সংক্রমণ এড়াতে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই নিয়ম ভাঙবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথামতো সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলুন। অবশ্যই মাস্ক এবং গ্লাভস পরুন। হাসপাতালে ঢোকা এবং বেরনোর সময় বারবার সাবান, জল কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর কারও সংস্পর্শে আসবেন না। ভাল করে স্নান সেরে নিন। হাসপাতালে পরে যাওয়া পোশাক ভাল করে সাবান জলে ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, হাসপাতালই কোনও রোগীকে সারিয়ে তুলে নবজীবন দিতে পারে। তেমন আবার হাসপাতাল থেকেই রোগ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই সুস্থ থাকতে হলে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.