Advertisement
Advertisement

ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে বাড়ছে শারীরিক সমস্যা, ভাটা পড়ছে পুজোর আনন্দে

কী বলছেন চিকিৎসকরা?

viral diseases hampering Puja enjoyment of Bengalis
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 7, 2019 5:35 pm
  • Updated:October 7, 2019 5:35 pm  

অভিরূপ দাস: বাঙালির সেরা উৎসবের মধ্যেই ভাইরাল আগমণিতে দিশাহারা গোটা বাংলা। কারও গলাব্যথা। কেউ সর্দি, হাঁচি, কাশিতে জেরবার। অসহ্য গা-হাত-পায়ে ব্যথা নিয়ে কেউ শয্যাশায়ী। এহেন ভাইরাস এতটাই শরীর দুর্বল করে দিচ্ছে যে পুজোয় ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা বাতিল করতে হচ্ছে অনেকেই।

[ আরও পড়ুন: সময় থাকতেই কাটান মুদ্রাদোষ, নাহলে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ ]

Advertisement

সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময়টায় ভাইরাল জ্বরের দাপট এতটা দেখা যায় না। কিন্তু এবার পুজোর শহরে ঘরে ঘরে ভাইরালের দাপট। সে ভিড়ে শামিল সাত বছরের পড়ুয়া থেকে সত্তরের বৃদ্ধ। তার উপর ডাক্তারখানাগুলি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কেউ পুরোনো প্রেসক্রিপশনে ভরসা রাখছেন, কেউ আবার ওষুধের দোকানে গিয়ে রোগ বলে ওষুধ নিচ্ছেন। যাদবপুরের বাসিন্দা পিনাকী দত্তর আচমকাই গলাব্যথা। একই অবস্থা বেহালার পূজা গোস্বামীরও। ইতিমধ্যেই পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাং আউটের প্ল্যান বাতিল করতে হয়েছে। অনেকের আবার জ্বর সারলেও কাশির দমকে ওষ্ঠাগত প্রাণ।

[ আরও পড়ুন: সহজে চা খেতে টি ব্যাগই ভরসা? বিপদ কিন্তু নেমে আসছে আপনার অজান্তেই ]

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরতে ভাইরাসের দাপটের কারণ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধ্যাপক ডা. প্রভাস প্রসূন গিরির ব্যাখ্যায়, বর্ষাকালের স্বাভাবিক যে বৃষ্টি হয়, তা এ বছর দেখা যায়নি। দু’তিন দিন বৃষ্টি হচ্ছে আবার কড়া রোদ উঠছে। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়া ভাইরাস জন্মানোর জন্য যথাযথ। ঠান্ডা গরমের জাগলিংয়ে শরীরে থাবা বসাচ্ছে ভাইরাস। সুস্থ থাকতে এখন থেকেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম থেকে দূরে থাকার নিদান দিয়েছেন। সব সময়ে ব্যাগে ছাতা রাখাই ভাল। হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামছে। আচমকা বৃষ্টিতে ভিজলেই শরীরের বারোটা বাজবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকক্ষেত্রেই এই ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ ডেঙ্গুর মতোই। তাই আশঙ্কায় ভুগছেন সকলে। ডা. গিরি জানিয়েছেন, শরতের ভাইরাল ফিভারে গায়ে র‌্যাশ বেরোচ্ছে। গা-হাত-পা ব্যথাও করছে। অনেকেই একে ডেঙ্গুর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। কিন্তু আতঙ্কিত না হয়ে সত্বর ডাক্তারের কাছে আসার পরামর্শ
দিচ্ছেন ডা. গিরি।

[ আরও পড়ুন: দেশের অর্ধেক পুরোহিতের ফুসফুস বিকল! কেন জানেন? ]

চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাল ফিভারে বিশ্রাম নেওয়ার আশু প্রয়োজন। যত বিশ্রাম নেওয়া হবে তত তাড়াতাড়ি আরোগ্য মিলবে। তবে একবার জ্বর হলে টানা পাঁচ দিন ভোগাবে বলেই জানিয়ে রেখেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণেও ভুগছেন অনেকে। বাতাসে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের পাশাপাশি রয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস, হিউম্যান মেটানিউমোনোভাইরাস, হান্টাভাইরাসের মতো বেয়াড়া জীবাণু। শরীরে এই ভাইরাস ঘাঁটি গেড়ে থাকে বড়জোর সাত দিন। তাই সজাগ থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement