সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দুই দশককে প্রযুক্তির যুগ বললে ভুল বলা হয় না। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, তৎসহ ইন্টারনেট বিপ্লব বদলে দিয়েছে গোটা দুনিয়াকে। প্রতিদিন নতুন অত্যাধুনিক গ্যাজেট আসছে বাজারে। যার সুবিধা নিচ্ছে মানুষ। এইসঙ্গে চিরকালীন প্রশ্নের মুখে সভ্যতা, বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ? উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বছর আঠারোর যুবকের ঘটনা ভয় জাগিয়ে ফের সেই প্রশ্নই তুলল। অতিরিক্ত হেডফোন (Headphone) ব্যবহারে শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি। সতর্ক না হলে এই বিপদে সকলেই পড়তে পারেন, বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ঝুঁকি এড়াতে মূল্যবান পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের ওই যুবক প্রায় সারাক্ষণ কানে ইয়ারবাড গুঁজে রাখতেন। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসের শ্রবণ ক্ষমতা হারান তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে শ্রবণযন্ত্রের অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত হয়। অস্ত্রপচারের বধিরতা সম্পূর্ণ দূর না হলেও আগের চেয়ে ভাল আছেন তিনি। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই ইয়ারফোন তথা ইয়ারবাড নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, ভারতে ইয়ারফোনের বাজার ক্রমবর্ধমান। গত বছরের তুলনায় ইয়ারফোনের বিক্রি বেড়েছে ৭৪.৭ শতাংশ। এর থেকেই বোঝা যায় দেশের কত মানুষ ইয়ারফোন কিংবা ইয়ারবাড ব্যবহার করে থাকেন।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, একটানা এক ঘণ্টার বেশি ইয়ারফোন ব্যবহার বিপজ্জনক। কেন? কর্ণগহ্বরে বায়ুচলাচল জরুরি। দীর্ঘক্ষণ তা বন্ধ থাকার ফলে ঘাম জমতে পারে কানে। তা থেকে হাতে পারে সংক্রমণ। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬-১৯ বছর বয়সি ১২.৫ শতাংশ (৫০ লক্ষের বেশি) ছেলেমেয়ে, ২০-৬৯ বছর বয়সি ১৭ শতাংশ (২ কোটি ৬ লক্ষের বেশি) প্রাপ্তবয়স্ক অতিরিক্তি ইয়ারফোনের ব্যবহারে শ্রবণ ক্ষমতা হারাচ্ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
ইয়াফোর ব্যবহার করলেও ভলিউম নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এতে কানের পর্দার ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
ইয়ারবাড এবং ইয়ারফোনের মধ্যে ইয়ারফোনকে বেছে নিন। কর্ণগহ্বরের ভেতরে প্রবেশ করে ইয়ারবাড। শব্দ সরাসরি আঘাত করে কানের ভিতরে। ফলে ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে বেশি।
ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড কখনই একটানা ব্যবহার করবেন না। কানকে বিশ্রামের সুযোগ করে দিন। এই নিয়মগুলি পালন করলে শ্রবণ ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.