সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শব্দরাক্ষস সক্রিয় সর্বস্তরে! বাজি ফাটানো হোক কিংবা ডিজে বাজিয়ে অনুষ্ঠান। তেমনই আজকাল হেডফোনে ছাড়া লোকে গান শোনে না! সারাক্ষণ দু’কানে গোঁজা শব্দযন্ত্র। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। এমনকী আপনি চিরকালের মতো হারাতে পারেন শ্রবণ ক্ষমতা (Hearing loss)। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার (America) একদল গবেষক। বিষয়টি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সতর্ক হতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানপত্রিকা বি এম জে গ্লোবাল হেলথে (BMJ Global Health) প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। অতিরিক্ত আওয়াজে গান শোনা নিয়ে সমীক্ষা চালান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার (South Carolina) গবেষকরা। ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ১২ থেকে ৩৪ বছর বয়সি সাতষট্টি কোটি থেকে একশো পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর ভাবে শব্দ শোনেন। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য লরেন ডিলার্ডের মতে, এর ফল হতে পারে ভয়ংকর। মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে অতি সংবেদনশীল কানের পর্দার। এমনকী শ্রবণ শক্তি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষকরা দাবি করেছেন, হেডফোনে, সঙ্গীতানুষ্ঠানে, ক্লাবে, উৎসবে-পার্বণে কানের সহ্য ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি ডেসিবেল গান বাজানো হয়ে থাকে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, হেডফোনে গান শোনার সময় অধিকাংশ সময় শব্দের তীব্রতার মাত্রা থাকে ১০৫ ডেসিবেল। সঙ্গীতানুষ্ঠানে সেই মাত্রা থাকে ১০৪ ডেসিবেল থেকে ১১২ ডেসিবেলের মধ্যে। যা বিপজ্জনক। কতখানি ঝুঁকির? আমেরিকার চিকিৎসা নিয়ামক সংস্থা (US center for disease control and prevention) জানিয়েছে, ১ সপ্তাহে চল্লিশ ঘণ্টা পঁচাশি ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ ক্ষতি করতে পারে কানের। এর থেকে বাঁচার উপায়?
গবেষক বিজ্ঞানী লরেন ডিলার্ডে সচেতনতায় জোর দিয়েছেন। জানান, কানের কষ্ট হচ্ছে কিনা বুঝতে হবে। সেই মতো নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে শব্দের মাত্রা। কোন মাত্রার শব্দ কানের ক্ষতি করতে পারে সেই সম্পর্কে অধিকাংশ ফোনে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। তা মেনে চলা বুদ্ধিমানের কাজ। এক গবেষক বলেন, “সঙ্গীত মানব জীবনে ঈশ্বরের উপহার। তা আমরা উপভোগ করব। আমাদের বার্তা হল, উপভোগ করুন কিন্তু সতর্কতার সঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.