অর্ণব আইচ: মাত্র ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন কেকে (Singer KK)। এখনও তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। তবে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগই প্রাণ কেড়েছে জনপ্রিয় শিল্পীর। কেকের হৃৎপিণ্ডের চারপাশে চর্বির মোটা স্তর দেখতে পাওয়া গিয়েছে। একে ‘ফ্যাটি হার্টে’র (Fatty Heart) উপসর্গ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। ‘ফ্যাটি লিভারে’র কথা অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু এই ‘ফ্যাটি হার্ট’ কী? তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাঁদের জন্যই এই প্রতিবেদন।
কাকে বলে ‘ফ্যাটি হার্ট’?
জানা গিয়েছে, হৃৎপিণ্ডের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু। শরীরে ভিতরে এই চর্বির আস্তরণের সৃষ্টি হয়। একেই বলে ‘ফ্যাটি লিভার’। এতে প্রদাহ বা জ্বালার সৃষ্টি হয়। যার ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে।
কী কারণে এই সমস্যা হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এবং সেই অনুপাতে কতটা শরীরচর্চা করা হচ্ছে, তার উপরে এই সমস্যার বেড়ে যাওয়া বা নিয়ন্ত্রণে থাকে নির্ভর করে। বর্তমান জীবনে ইঁদুর দৌঁড়ে অনেকেই অনিয়মিতভাবে খাবার খান। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার চলও বেড়ে গিয়েছে। অনেকে আবার যতটা খাবার খান, সেই তুলনায় শরীরচর্চা তেমন করেন না। এতেই ‘ফ্যাটি হার্টে’র সমস্যা বাড়ে। হৃৎপিণ্ডের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু করে। আর তাতে হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অ্যাসিডের কারণে কেকে’র পাকস্থলীতে হওয়া ঘা সেরেছিল প্রচুর অ্যান্টাসিড খেয়ে। সেই চিহ্নও মৃত্যুর পরও থেকে গিয়েছিল গায়কের শরীরের ভিতরে। কেকে’র জিনিসপত্র ঘেঁটে মিলেছে দশ রকমের ট্যাবলেট। বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এবং সিরাপও মিলেছে। কিন্তু কোনও প্রেসক্রিপশন মেলেনি। মেলেনি হৃদরোগের ওষুধ। ফলে হৃদরোগের চিকিৎসা যে হয়নি, তা প্রমাণিত।
তাই সতর্ক থাকুন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ফ্যাটি হার্টে’র কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে না। তা হার্টের অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই হার্টের কোনও সমস্যাকেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.