ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি যদি সাধারণ সর্দি-কাশিতে কাবু হয়ে থাকেন, তাহলে সম্ভবত নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ হলে ততটা বিপদে পড়তে হবে না। এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা। আমেরিকার বস্টন মেডিক্যাল সেন্টার ও বস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা বলছেন, সার্স-কোভ-২ হল অপেক্ষাকৃত নতুন প্যাথোজেন বা জীবাণু। কিন্তু এটা ছাড়াও আরও নানা ধরনের করোনা ভাইরাস রয়েছে যারা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটালে সাধারণ সর্দি-কাশি হয়। এর ফলে যে ইমিউনিটি শরীরে তৈরি হয়ে যায় তা কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসকে খানিকটা হলেও ঠেকাতে পারবে। সাধারণ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে নোভেল করোনা ভাইরাসের জিনগত সাদৃশ্যই এর পিছনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১৮ মে থেকে এবছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত যতজন রোগীর শ্বাসযন্ত্রের পরীক্ষা তথা CRP-PCR টেস্ট হয়েছে, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। এছাড়াও ১২ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদেরও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। দেখা গেছে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আগে যাঁদের সাধারণ সর্দি-কাশি হয়েছিল, সাধারণভাবে তাঁদের আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়েনি।
এই গবেষণার অন্যতম গবেষক বস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক মণীশ সাগর দাবি করেছেন, ‘‘আমাদের পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গিয়েছে, যাঁদের ক’দিন আগেই সাধারণ সর্দি-কাশি হয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কম গুরুতর ছিল।’’ কিন্তু গবেষকরা এও জানিয়েছে, এর আগে অন্য কোনও করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে সেই ব্যক্তি আর সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না, এমনটা কিন্তু নয়। সংক্রমণ আটকানোর ক্ষমতা তাদের নেই।
এদিকে দেশের দৈনিক সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, এই মুহূর্তে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি হারে বাড়ছে সুস্থতা। যার ফলে ক্রমে কমছে সক্রিয় বা চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। সংখ্যাটা কমতে কমতে বৃহস্পতিবার ৯ লক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছে। যা স্বস্তি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.