সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় প্রথম করোনা চিকিৎসার সূচনা হয়েছিল সরকারি হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডি’র হাত ধরে। হাসপাতালের পরিকাঠামো পরিদর্শনে এসে কেন্দ্র-রাজ্যের হাজার সংঘাতের মাঝেও এখানকার প্রশংসা না করে থাকতে পারেনি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার এই হাসপাতাল দাঁড়িয়ে একটা ইতিহাস তৈরির মুখে। বেলেঘাটা আইডি’তে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত, ভেন্টিলেশনে থাকা কোনও রোগীর শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হল। এতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে দেশের মধ্যে নজির গড়বে বাংলার চিকিৎসকদের এই কাজ। নয়া দিগন্ত খুলে যাবে করোনার চিকিৎসাব্যবস্থায়ও।
বৃহস্পতিবারই ভেন্টিলেশনে থাকা এক অতি সংকটজনক করোনা রোগীর উপর সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর রক্তরস প্রয়োগ করেছেন বেলেঘাটা আইডি’র চিকিৎসকরা। এবার শুধু অপেক্ষা, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনি কতটা সাড়া দেন। যদি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন করোনা আক্রান্ত ওই রোগী, তাহলে প্লাজমা থেরাপির জোরে অনেককেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
আগেই ICMR এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছে। বাংলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অন্তত চারজন এগিয়ে এসেছেন নিজেদের দেহের রক্তরস দিয়ে অন্যকে সুস্থ করে তোলার মানবিক ভূমিকায়। সেই রক্তরসে করোনা রোগীদের চিকিৎসাও হয়েছে। তবে তাঁদের সকলের শরীরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মৃদু উপসর্গ ছিল। এবার পরীক্ষা অনেক কঠিন। প্রায় মৃত্যুশয্যায় শায়িত এক রোগীকে সুস্থ রোগীর রক্তরস প্রয়োগ করে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁর শরীরে নিজে থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার রসদ দিতে হবে। আর উল্লেখযোগ্যভাবে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বাংলার চিকিৎসকরা। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বেলেঘাটা আইডি’র ডাক্তাররা। এই অগ্নিপরীক্ষায় তাঁরা পাশ করলে, মহামারী মোকাবিলায় উত্তর-পূর্ব ভারতকে নতুন পথ দেখাবে বঙ্গ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.