সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন রোজই করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমূখী। দৈনিক ২৫ হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন দেশে। দ্রুত টিকা আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন দেশবাসী, ঠিক তখনই নিরাশার খবর শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সূত্রে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি সূত্রে খবর, আগামী বছরের আগে ভ্যাকসিন আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এমনটা কমিটিকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরাই। এ মাসের শুরুতে যেখানে ICMR আগামী ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন লক্ষ্যমাত্রা ধরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, পরীক্ষার গতি দ্রুত করার জন্য এবং লাল ফিতের জট কাটানোর জন্যই এমন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিল সংসদীয় কমিটির অন্দরের খবর।
তবে শুক্রবার সংসদীয় কমিটির সদস্য সাংসদদের কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতই হল বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক দেশ। কারণ বিশ্বের ৬০ শতাংশ প্রতিষেধক ভারতে প্রস্তুত হয়। আগামী দিনেও ভারত বিশ্বকে ভ্যাকসিন তৈরিতে পথ দেখাবে। গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। তৈরির ক্ষেত্রেও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকরা সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের প্রথম মানব ট্রায়াল আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে। তবে মন্ত্রকের আধিকারিকরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত, আগামী বছরের আগে জনসাধারণের জন্য এই প্রতিষেধক আনা যাবে না।
কিছুদিন আগে মন্ত্রক সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “ছটি ভারতীয় সংস্থা কোভিড-১৯’এর ভ্যাকসিন তৈরি করছে। COVAXIN এবং ZyCov-D সহ মোট এগারোটি করোনার টিকা মানব দেহে প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের আগে আমজনতার ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনগুলি বাজারে আসবে না।” এরপরই সমস্ত জল্পনায় জল পড়ে যায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “যে দুটি বিদেশি সংস্থা টিকা তৈরির জন্য ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাঁদেরও নিজেদের টিকা যে উপযোগী ও নিরাপদ তা প্রমাণ করতে হবে।” জানা গিয়েছে, তাঁরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.