রাষ্ট্রনেতাদের পাতে স্টার্টার থেকে ডেজার্ট সবেতেই ছিল মিলেটের নানা পদ। স্বাস্থ্যগুণ আছে বলেই তো রাজকীয় মেনুতে স্থান পেল এই মোটা দানাশস্য। কেন খাবেন, বুঝিয়ে দিলেন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ন অরিজিৎ দে
সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনের মেগা ডিনারে রাষ্ট্রনেতাদের পাতে মিলেট বা বাজরার পদের রমরমা চোখে পড়ে। শুরু-থেকে শেষ পর্যন্ত সবেতেই মিলেটের ছোঁয়া।
রাগি, জোয়ার, বাজরাকে মিলেট জাতীয় শস্য বলা হয়। পুষ্টিগুণে ভরা এই শস্যের উপর রীতিমতো ভরসা করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এদেশের একাধিক জায়গায় এই স্বাস্থ্যকর শসে্যর চাহিদা বেড়েছে গত কয়েক বছরে। শুধু এদেশেই নয়, বিশ্বের প্রায় ১৩১টি দেশে এই শস্যের বহুল ব্যবহার রয়েছে। স্বাস্থ্যগুণের বিচারেও
অনেক এগিয়ে।
ডায়েটে মিলেট কেন জরুরি?
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। সিলিয়াক রোগ নিরাময় করে।
পেশীর ভর সংরক্ষণে কার্যকর। মিলেটের প্রোটিন পেশীকে শক্তিশালী করে। এগুলিতে লাইসিন নামক একটি নির্দিষ্ট পদার্থ রয়েছে যা অ্যামাইনো অ্যাসিডের একটি রূপ। যা পেশীগুলিকে সচল রাখে, অবক্ষয় দূর করে।
ভাল ঘুমের জন্য দরকার। মিলেট শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়। যা শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একজন ব্যক্তিকে চাপমুক্ত হতে সাহায্য করে। যদি এটি রাতে খাওয়া হয় তাহলে ভাল ঘুম হয়।
মাসিকের ক্র্যাম্পের সমস্যা বা ব্যথা প্রতিরোধ করে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা জরায়ুর পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে।
বুকের দুধ গঠনে সাহায্য করে। সন্তান জন্মদানকারী মহিলারা
এবং যাঁরা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাঁদের প্রচুর পরিমাণে মিলেট খাওয়া উচিত কারণ এটি বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
মিলেট কম গ্লাইসেমিক যুক্ত খাদ্য। যা ব্লাড সুগার ঠিক রাখে।
মিলেটের ক্যালোরি কম, তাই খাদ্যতালিকায় এর উপস্থিতি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ। এনার্জির উৎস ও অতিরিক্ত খিদে কমায়। পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ, ফলে অপ্রয়োজনীয় ভাজাভুজি খাওয়ার ঝুঁকিও কমে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
এতে উপস্থিত ফাইবার অন্ত্রে একটি সান্দ্র পদার্থ তৈরি করে, যা চর্বি জমতে বাধা দেয়। হার্টের অসুখের ঝুঁকিও কমে।
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়ায় যা হজম প্রক্রিয়ায় আরও সাহায্য করে মিলেট। বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের নিয়ন্ত্রণ করে।
জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে এতে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীর টক্সিন মুক্ত করতে এই শস্যের জুড়ি মেলা ভার।
মিলেটে ক্যালশিয়াম থাকে এবং শক্তিশালী হাড় গঠনে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্যও ভাল। এতে ভিটামিন ই, অ্যামিনো অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। খেলে জেল্লা বাড়ে তাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.