সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঞ্জেকশনের নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে! আট থেকে আশি, অনেকেই ইঞ্জেকশন নিতে ভয় পান। কারণ গায়ে সূচ ফুটলে ব্যথা তো লাগেই। তবে আর ব্যথার ভয়ে গায়ে জ্বর আসার দিন ভুলে যান। কারণ ইতিমধ্যেই খড়গপুর আইআইটি এমন এক ‘নিডল’ আবিষ্কার করেছে যা দিয়ে ইঞ্জেকশন দিলে খুব বেশি ব্যথা লাগবে না।
‘মাইক্রো নিডল’ দ্বারা সূচ ফোটানোর কষ্ট ছাড়াই ইঞ্জেকশন নেওয়া যাবে। এই উদ্ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন খড়গপুর আইআইটির ইলেকট্রনিক ও ইলেট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্য। যা করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও খুবই কার্যকর হবে। ইনসুলিন কিংবা অন্যান্য অসুখের ড্রাগও এই বিশেষ ইঞ্জেকশন দ্বারা নেওয়া সম্ভব।
সাধারণভাবে যে সূচ দিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তার থেকে অনেকটাই সরু হবে নতুন এই নিডল। তবে শরীরে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা হবে সমান। আবার সরু বলে এই সূচ ভেঙে যাওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। এটা একেবারেই পলকা নয়।
এতে কী সুবিধা? একধরনের প্যাচ এটি, অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো, যা ত্বকের উপরে লাগিয়ে দিলেই ড্রাগ শরীরে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই পদ্ধতির নাম, ‘ট্রান্স ডার্মাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম’। প্যাচটিতে প্রায় ১০০টি নিডল রয়েছে, কিন্তু তা চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। ফলে সেনসারি নার্ভকেও ছুঁতে পারে না, ব্যথাও অনুভূত হয় না। সম্প্রতি এই গবেষণাটি ‘নেচার’ জার্নালেও প্রকাশ পেয়েছে। প্রাণীদেহে মাইক্রো নিডলটির প্রয়োগ সফল, এখন মানব শরীরে ট্রায়াল সম্পন্ন হলেই বাজারে আসবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.