ছবি: প্রতীকী।
সর্দি-কাশি, জ্বরের সঙ্গে দোসর গলা ব্যথা। পুজোর খুশিতে মাতোয়ারা হতে শরীরের বিশেষ কেয়ার জরুরি। জিনিয়া সরকারকে সাবধানবাণী শোনালেন বিশিষ্ট জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র।
রোদ ঝলমল শারদপ্রাতে হঠাৎ করেই মেঘের আনাগোনার মতোই আচমকা জ্বরের হানা। ঠান্ডার আমেজ, সঙ্গে বৃষ্টি-দেবী পক্ষের সূচনায় বাড়তি সতর্কতা শরীরে থাকুক। না হলে সব আনন্দ মাটি হতে পারে। ভিড়ের মধ্যে এমন জ্বরের সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। সাবধানের মার নেই।
কেন এই হঠাৎ জ্বর?
মূল কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে রাতে ঠান্ডা ও সকালে গরম। এই সময় যে কোনও সংক্রমক রোগ, যেমন ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়াঘটিত রোগ খুব বৃদ্ধি পায়। এই আবহাওয়ায় জীবাণুর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই মশা, মাছিবাহিত রোগের প্রকোপ থেকেও সাবধান।
জ্বরের ধরন
[ জ্বর থেকে রেহাই পেতে এই অভ্যাসগুলি এখনই বদলান ]
কাদের হচ্ছে?
মূলত যাঁদের অন্যান্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে অ্যাজমা, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, হার্টের অসুখ বা হার্ট ফেলিওরের সমস্যা ও ডায়াবেটিস থাকলে এই ভাইরাস খুব সহজে আক্রমণ করে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ খেলে তাঁদের এই জ্বরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এই জ্বর শরীরকে খুব দুর্বল করে দেয়। যা থেকে জ্বরের পাশাপশি সংক্রমণের সম্ভাবনাও দ্বিগুণ বেড়ে য়ায়। বিশেষ করে চেস্ট ইনফেকশন এক্ষেত্রে বেশি হয়। এই জ্বর থেকে নিউমোনিয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
জ্বর ছেড়ে গেলেও যদি কারও দীর্ঘদিন সর্দি-কাশি, দুর্বলতা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর অন্য কোনও অসুখ শরীরে লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মেনে চলুন
[ পুজোর মরশুমে সুস্থ থাকতে চান? অবশ্যই ডায়েটে থাক এই খাবারটি ]
কেয়ার অফ জ্বর
এই জ্বর খুব ছোঁয়াচে। তাই বিশেষ সাবধানতা জরুরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.