Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cirrhosis of liver

মদ্যপান না করলেও হতে পারে লিভার সিরোসিস, সুস্থ থাকার উপায় কী?

মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে এই রোগ।

How to prevent Cirrhosis of liver । Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 22, 2021 6:42 pm
  • Updated:June 22, 2021 6:42 pm  

মদ খেলে না কি লিভারের বারোটা বেজে যায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যাঁরা নন-অ্যালকোহলিক, তাঁরাই বেশি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন! এ রোগের লক্ষণ বুঝবেন কেমন করে? কখন চিকিৎসা করানো উচিত? জানালেন রুবি জেনারেল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. প্রেরণা পল্লবী। শুনলেন সোমা মজুমদার।

অনেকেরই ধারণা রয়েছে, মদ্যপান করলেই লিভার সিরোসিস হয়। কিন্তু বর্তমানে নন অ্যালকোহলিক লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এমনকী, আগামী ২০-২৫ বছরে সারা পৃথিবীতে নন অ্যালকোহলিক লিভার সিরোসিস অতিমারির আকার নিতে চলেছে বলে ধারণা চিকিৎসক মহলের। একইসঙ্গে রোগী এবং চিকিৎসকদের কাছেও এটি একটি চ্যালেঞ্জের কারণও বটে কারণ একাধারে যেমন এই রোগের চিকিৎসার কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই তেমনি এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হানা দিতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ভ্যাকসিনের বুস্টার শট নেওয়া কি জরুরি? জবাব দিল WHO]

মদ্যপান না করলেও

ক্রনিক লিভারের অসুখ থেকে লিভার সিরোসিস ( Cirrhosis of liver) জন্ম নেয়। লিভারের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয় এই অসুখের প্রভাবে। অনেকেরই ধারণা, কেবল অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এই অসুখ হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, মদ্যপান না করলেও লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী দিনে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, বাচ্চারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মদ্যপান ছাড়াও প্রতি দিনের বেশ কিছু ভুল অভ্যাসের জেরেও এই অসুখ আক্রমণ করতে পারে। তবে সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকিও এড়ানো সম্ভব।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

প্রাথমিকভাবে শৈশব থেকেই সঠিক লাইফস্টাইলের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত ঘুম। এছাড়াও ডায়েবেটিস, ডিসলেপিডেমিয়া ইত্যাদি মেটাবলিক রোগ থাকলে নিয়মিত সুগার, কোলেস্টেরল মাপতে হবে। ফ্যাটি লিভার থাকলেও খেয়াল রাখতে হবে। যাদের ওজন বেশি রয়েছে, কোনো ক্রনিক রোগ রয়েছে তাদের নিয়মিত চেক আপে থাকতে হবে। প্রত্যেক তিন থেকে ছয় মাস অন্তর ব্লাড টেস্ট করে লিভার ফাংশান পরীক্ষা এবং পেটের আলস্ট্রাসোনোগ্রাফি করতে হবে। তাহলেই প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার সিরোসিস ধরা পড়তে পারে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়তে পারে যা থেকেই পরবর্তীকালে লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

[আরও পড়ুন: বিনা ওষুধে যোগাভ্যাসেই কীভাবে ভাল থাকবে ফুসফুস? শেখাবে মেডিক্যাল কলেজ]

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

লিভার সিরোসিসে প্রথম দিকে রোগী কিছুই তেমন বুঝতে পারেন না। যদি না জন্ডিস বা এই ধরনের কোনো লিভারের অসুখ খুবই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। সাধারণত লিভারর সিরোসিসের শেষের দিকেই জন্ডিস, কালো মল-সহ অন্যান্য উপসর্গ বোঝা যায়। নিয়মিত লিভার ফাংশান টেস্ট করানো উচিত। লিভারের কোনওরকম সমস্যা বুঝতে পারলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত মধ্য বয়সিদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার বেশি হয়। এক্ষেত্রে ঠিক সময়ে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement