মিলনের সমাপ্তিপর্বে লুকিয়ে প্রকৃত সুখ। কিন্তু তা যদি না মেলে? অর্গাজম-অতৃপ্তি থেকে মুক্তির উপায় বললেন গাইনোকলজিস্ট ডা. পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়।
মিলনের চরম মুহূর্তে পৌঁছেও অর্গাজম ঠিক মতো না হলে অতৃপ্ত থেকে যায় সঙ্গম সুখ। রাতের পর রাত এই এক সমস্যায় অশান্ত হয় মন, তিক্ত হয় দাম্পত্য। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যৌনচাহিদা কম, অর্গাজমের সমস্যায় ভোগেন প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের গোপন সমস্যা আড়ালে থেকে যায়। এই অতৃপ্তি নিয়ে স্বামী বা সঙ্গীর সঙ্গেও আলোচনা করেন না অনেকে। বহু বছর সহবাস করার পরেও কারও কারও নানা কারণে অর্গাজমের অভিজ্ঞতাই হয়নি। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
তবে ট্রেন্ড কিছুটা বদলেছে। মানসিক ট্যাবু ভেঙে আজকাল প্রায়ই এমন প্রবলেম নিয়ে রোগী আসেন ডাক্তারের কাছে। এই সমস্যা লুকিয়ে রাখার নয়। চিকিৎসা করলেই সঙ্গম শেষের অস্বস্তি কেটে যাবে।
বিছানায় অতৃপ্তি- অ্যানরগাজামিয়া
মহিলাদের অর্গাজম হয় যৌন সঙ্গমের অনেকটা শেষের দিকে। মিলন শেষে এই তরল ক্ষরণ শরীরকে রিল্যাক্স করে। স্ট্রেস মুক্ত করে। শরীর ও মন দুই-ই হালকা হয়। এই তৃপ্তি না পাওয়া অর্থাৎ কোনও মহিলার অর্গাজম না হওয়ার সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘অ্যানরগাজামিয়া’। এটা মহিলাদের এক ধরনের সেক্সুয়াল ডিসফাংশন। তবে এই সমস্যা থাকলে তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ এর জন্য শরীরে কোনও গুরুতর অসুখ বাসা বাঁধবে না।
কারণ খুঁজে বের করুন
ডিসফাংশনের চিকিৎসা
অর্গাজম ও সন্তানধারণ
প্রথমেই বলে রাখি, অর্গাজম ডিসফাংশনের সঙ্গে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফার্টিলিটির কোনও সম্পর্ক নেই। তাই যে মহিলার যৌনক্রীড়ার সময় ঠিক ভাবে অর্গাজম হয় না, তাঁর সন্তানধারণে অসুবিধা যেমন হবে না তেমনই এই সমস্যার জন্য আইভিএফের সাহায্যে মা হওয়ার প্রয়োজনও পড়বে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.