সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথি (Homeopathic drug) এবং আয়ুর্বেদকেই হাতিয়ার করেছে গুজরাট সরকার। রাজ্যবাসীকে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রকোপ থেকে দূরে রাখতে মার্চ থেকেই বিশেষ পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। সরকারের দাবি, আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০-র মতো হোমিওপ্যাথি ওষুধ এবং আয়ুশ মন্ত্রকের নির্দেশিকাই সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিয়েছে।
গত ২০ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সামনে নিজেদের কোভিড মোকাবিলার স্ট্র্যাটেজি তুলে ধরে গুজরাট। সেখানেই সে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বলা হয়, মার্চ থেকেই গুজরাটবাসীকে (Gujarat) আর্সেনিক অ্যালবাম-৩০ দেওয়া হচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৬ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৩.৪৮ কোটি মানুষের কাছেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই ওষুধ। এই ওষুধ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম, এমনটার প্রমাণ না মিললেও দেখা গিয়েছে যাঁরা এই ওষুধ নিয়মমাফিক খেয়েছেন, তাঁরাই সুস্থ। একইসঙ্গে কাজে দিয়েছে আয়ুর্বেদও। ক্বাথ থেকে যোগ ব্যায়াম- মহামারীর আবহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে এসব।
স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যাঁরা আয়ুশে (Ayush) ভরসা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে ৯৯.৬৯ শতাংশেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদের কথায়, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩৩ হাজার ২৬৮ জনের মধ্যে অর্ধেক মানুষই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়েছিলেন।
রবিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব জয়ন্তী বরি জানান, আর্সেনিক অ্যালবাম-৩০-এর উপর বিশ্বাসের কারণ একটাই। কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় হাজার জনের মধ্যে ৯৯.৬৯ শতাংশই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। ০.৩ শতাংশ পজিটিভ রোগীদেরও সামান্য উপসর্গ ছিল। গুজরাট এই স্ট্র্যাটেজিতে ইতিবাচক ফল পেলেও আর্সেনিকা অ্যালবাম ৩০ করোনাকে দূরে রাখতে কতটা উপযোগী বা আদৌ এর ভূমিকা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.