সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুততাই এখন জীবনের চেনা ছবি। আর এর ফলে গোলমাল হয়ে যাচ্ছে লাইফস্টাইলের (Lifestyle)। আর সেটাই ডেকে আনছে শরীরের ক্ষতি। ফলে নানা অসুখের প্রাদুর্ভাব। এই পরিস্থিতিতে সকলকে সতর্ক করলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো। জানালেন, জীবনশৈলীর চাপানউতোরই সব কিছুর মূলে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বহু ক্ষেত্রেই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অতি সচেতন হতে গিয়েও ঘটছে বিপদ। আইটিসি সোনার বাংলায় এক অনুষ্ঠানে এমনই কথা বলতে দেখা গেল তাঁকে। সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে লিউক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুম্বইয়ে থেকে আগত সঞ্চালক কাঞ্জন ওয়াড়ি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজক লেডিস স্টাডি গ্রুপের সভাপতি ভাবনা আগরওয়াল ইভেন্টটির থিমের কথা সকলকে জানান। তারপরই তিনি লিউক ও কাঞ্চনকে মঞ্চে আহ্বান করেন। লিউক বলেন, সচেতনতা বাড়লেও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে বহু ভুল ধারণা। পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখার ব্যর্থতা এবং বিষয়টি নিয়ে বাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়াতেই সমস্যা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু এতে কি জিনগত কোনও সমস্যাও থাকে না? এই প্রসঙ্গে কুটিনহো পরিষ্কার জানাচ্ছেন, জিনগত ফ্যাক্টরকে পিছনে ফেলে দিয়েছে লাইফস্টাইলের গোলমাল।
অন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বলতে গিয়ে কুটিনহো জানাচ্ছেন, আমাদের পাচনতন্ত্রের প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামের। অন্যথায় সমস্যা থেকে মুক্তি মেলা দুষ্কর। ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ অর্থাৎ নিয়মমাফিক উপোসের ক্ষেত্রে কতক্ষণ না খেয়ে থাকা ঠিক, ১২ নাকি ১৬ ঘণ্টা, এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি ওই পুষ্টিবিদ। তাঁর মতে, প্রত্যেকের শরীরের গঠন আলাদা। সেই বুঝেই তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে উপোসের সময়ের বিষয়ে। এছাড়াও তাঁর মতে ‘ওভার ইটিং’ অর্থাৎ বেশি করে খাবার খাওয়ার বিপদ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করেন। খাদ্যাভ্যাস ও খাবার সম্পর্কে মিথ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে লিউক ফল, বীজ, বাদাম ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। জানিয়ে দেন, বেশি রাতে জেগে থাকা কিংবা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী যে লাইফস্টাইলের পার্থক্য, সেগুলোও সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.