Advertisement
Advertisement
HMPV

চিনা ভাইরাসের চোখরাঙানি, শিশু-বয়স্কদের খেয়াল রাখুন, রইল ভেষজ দাওয়াই

রান্নাঘরের মশলা দিয়েও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

HMPV: Some Natural and Herbal Ways to Boost Your Body Defenses
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:January 6, 2025 3:10 pm
  • Updated:January 6, 2025 4:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছর আগের স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছে। করোনা ভাইরাসের সেই আতঙ্ক। মাস্ক, লকডাউনের দুঃস্বপ্ন। এবার চোখ রাঙাচ্ছে চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। সোমবার বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ থেকে এখনও পর্যন্ত তিন শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরি। তার জন্য যে সবসময় অ্যালোপ্যাথিকের ভরসায় থাকতে হবে তা নয়। ভেষজ ও রান্নাঘরের মশলা দিয়েই প্রাথমিক চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

ভেষজ ওষুধ ছাড়াও কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়। যেমন দিনে ২-৩ বার বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে নেওয়া। এমন ক্ষেত্রে গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে বাষ্প (ভেপার) নিলে বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং নাক, কান, গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement

কবল ধারণ ও কুলকুচি করলে উপশম হয়, তবে কম করে ২-৩ বার সারাদিনে করতেই হবে। গার্গল করার জলে কয়েকটি নিমপাতা দিতে পারেন অথবা সোহাগার খইয়ের পাউডার ১-২ টিপ দিয়ে গার্গল করলে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে।

neem
ছবি: সংগৃহীত

গ্রিন টি বানিয়ে তার বাষ্প নাক দিয়ে নিয়ে, মুখে কিছুক্ষণ ধারণ করে তারপর পান করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।

জ্বর হলে শিউলিপাতার রস ৫-১০ মিলিলিটার ১ চামচ মধুর সঙ্গে ২-৩ বার দেওয়া যেতে পারে। আয়ুষ ৬৪ বলে একটি ওষুধ যার মধ্যে চিরতা, নাটা করঞ্জ, কটকি ও ছাতিম এর নির্যাস আছে। এটি ৫০০মিলি গ্রাম করে ৩ বার নিতে হবে। সহজেই পাওয়া যায়।

Sheuli
ছবি: সংগৃহীত

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধি ও বার বার সর্দিকাশিতে যাঁরা ভোগেন তাঁদের জন্য আয়ুষ ক্বাথ ১৫-৩০ মিলিলিটার দিনে ২ বার নিতে পারেন। আয়ুষক্বাথ তুলসী, দারুচিনি, শুকনো আদা ও গোলমরিচ দিয়ে তৈরি করতে হয় যা বাড়িতেই তৈরি করা যায়।

খাদ্যতালিকায় অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। আমলকী, পাতিলেবু, সজনেপাতার ডাঁটা ও ফুল বিশেষভাবে ইমিউনিটি বাড়িয়ে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখতে হবে। তার জন্য বাষ্প নেওয়ার পর ৬ ফোঁটা করে অনু তৈল দিনে ২-৩ বার নিলে নাকের পথ খুলে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে।

কাশি হলে মুখে একটুকরো লবঙ্গ বা যষ্টিমধু রাখতে পারেন। এছাড়া তালিশাদি চূর্ণ বা সিতপলাদি চূর্ণ ৩ গ্রাম করে দিলে ২-৩ বার নেওয়া যেতে পারে। বাসক পাতার রস ও কণ্টিকরি রস মধু দিয়ে ১০-১৫ মিলিলিটার দিনে ২-৩ বার নিতে পারেন।

Clove-1
ছবি: সংগৃহীত

এই সময়ে শিশুরা বেশি ভোগে তাদের রোগ প্রতিহত করার ক্ষমতা কম থাকার জন্য। ৬ মাসের পরে শিশুদের তুলসীপাতার রস ১-৫ মিলিলিটার পর্যন্ত মধুর সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হালকা রোদ, নিত্য তেল মালিশ, ইত্যাদি বিশেষ উপকার দেয়।

বৃদ্ধরা প্রতিদিন চ‌্যবনপ্রাশ, অগস্ত্য হরীতকী রসায়ন, চিত্রক হরীতকী রসায়ন যে কোনও একটি ১০ গ্রাম করে নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও বার বার সর্দি কাশি জ্বর হওয়া থেকে দূরে থাকবেন এবং সহজে কাবু হবেন না।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement