অকারণেই বারবার প্রস্রাব পেলে কিংবা একটু পেটে চাপ পড়লেই যদি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে তা একটি রোগ। লজ্জায় সমস্যা লুকিয়ে রাখবেন না। মূত্রথলির এই অসুখ চিনিয়ে সাবধান করলেন ইউরোলজিস্ট ডা. অরিন্দম দত্ত। শুনলেন জিনিয়া সরকার।
হাঁচি-কাশি কিংবা একটু জোরে পেটে চাপ দিয়ে হাসি-সবক্ষেত্রেই লিক করে। আর লজ্জায় সেই নিয়ে চেপে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। ৬৫ বছরের তপতী দেবীর অবস্থা এমনই। কিছুতেই প্রস্রাবের বেগ চাপতে পারেন না। অপ্রত্যাশিতভাবে বারবার এমন হতে থাকে। যার ঠেলায় কোথাও যেতে পারেন না। প্রথমে তেমন গা করেননি। ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়তে শুরু করল। তখন চিকিৎসকের কাছে গেলে ধরা পড়ে, ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার।
কী এই সমস্যা?
এই অসুখে দেখা যায়, ব্লাডার বা মূত্রথলির পেশি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়, প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে থাকে। ফলে একজনের বারবার প্রস্রাব পেতে থাকে। যেমন হয়েছিল তপতী দেবীর। অনেকের আবার মূত্রথলি থেকে মূত্র লিকও হতে পারে।
কেন হয়?
মূত্রথলির এই সমস্যার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কেন এমন হচ্ছে সেটা চিহ্নিত করা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। অনেক রকম সমস্যা এর জন্য দায়ী হতে পারে।
কাদের ভয় বেশি?
মহিলা কিংবা পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই এমন হতে পারে। বিশেষ করে, যে সকল মহিলার মেনোপজ হয়ে গিয়েছে তাঁদের রিস্ক অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর পুরুষদের, যাঁদের প্রস্টেটের অসুখ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে মূত্রথলির এমন সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। লক্ষণ থাকলে ইউরিন কালচার, ব্লাডার ক্ল্যান, সিস্টোস্কোপি, ইউরো ডায়নামিক টেস্টিং করে ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার রোগ নির্ণয় করা হয়।
শুরুতেই সাবধান হোন
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.