জিনিয়া সরকার: শরীর হবে পালকের মতো। হালকা, নমনীয়। তার জন্য দরকার রোজের শরীরচর্চা। যার মধ্যে অন্যতম হল এক্সারসাইজ। তবে জিম, ব্যায়াম মানেই এখন ঘামে প্যাচপ্যাচ-হাঁসফাঁস৷ সকালে হাঁটতে গেলেও স্বস্তি নেই৷ ঘামে ভিজে দিনের শুরুতেই সারাদিনের কাজের এনার্জি শেষ! ট্রেড মিলে হেঁটে শরীর একটু ঝরঝরে হলেও মেণ্টালি রিলিফ মিলবে না৷ তাই ডুব দিন। সাঁতরে গড়ে তুলুন সুন্দর চেহারা। রোজ আধঘণ্টা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করার চেয়ে অন্তত ১৫-২০ মিনিট সাঁতার কাটলে পাঁচগুণ বেশি উপকার। হার্ট, ফুসফুস ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাঁতারের বিকল্প কিছু হয় না, জানালেন পালমনোলজিস্ট ডা. তনভির রেজা।
কতক্ষণ সাঁতার কাটবেন?
সকাল, সন্ধে অথবা রাত্রি, যে কোনও সময় সাঁতার কাটতে পারেন। উপকার সবসময়েই। রোজ না হলেও সপ্তাহে তিনদিন ৩০-৪৫ মিনিট সাঁতার কাটলেই যথেষ্ট। শিশুদের জন্যও উপকারি এক্সারসাইজ। ছোটরা ৩০ মিনিট জলে থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। তবে খালি পেটে বা একদম ভরা পেটে সাঁতার না কাটাই উচিত। অল্প খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে সাঁতার কাটা যেতে পারে।
কোন কোন রোগে উপকার?
আর্থারাইটিস
সাঁতার কাটার সময় শরীর জলে ডুবে থাকায় শরীরের ওজন কমে যায় ফলে শরীরের চাপ জয়েণ্টে পড়ে না৷ আর্থারাইটিস, জয়েণ্ট পেন কমাতেও সাঁতার দারুণ কাজ দেয়।
হার্ট ভাল থাকে
সাঁতার কাটলে শরীরের সমস্ত পেশিতে একই সঙ্গে চাপ পড়ে৷ ফলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ হার্ট ভাল থাকে। ক্যালোরির ক্ষয়ও অনেক বেশি হয় ৷
সুস্থ ফুসফুস
সাঁতার কাটলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ঠিক থাকে, ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বেড়ে যায়৷ ফুসফুসের অসুখ দূরে থাকে।
হালকা শরীর-মন
কাজের চাপ কিংবা মন ভাল নেই– সাঁতার ভাল করে দেয় দু’ই৷ সাঁতার কাটার সময় শরীর থেকে ‘ফিল গুড’ হরমোন (এনডোরফিনস) নির্গত হয় যা অবসাদ, অতিরিক্ত চাপ, চিন্তাকে সহজেই দূর করে৷
এছাড়া, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের সম্ভাবনা কমে, ঘনঘন ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দির প্রবণতা কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে ও শরীর হয় সুঠাম।
কোন সাঁতারে কত ক্যালোরি ঝরবে?
ব্রেস্ট স্ট্রোক – ১০ মিনিট, ৬০ ক্যালোরি
ব্যাক স্ট্রোক – ১০ মিনিট, ৮০ ক্যালোরি
ফ্রি স্টাইল – ১০ মিনিট, ১০০ ক্যালোরি
বাটার ফ্লাই- ১০ মিনিট, ১৫০ ক্যালোরি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.