সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়া পালটাচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ালেই টের পাওয়া যাচ্ছে হিম। ত্বকে ধরতে শুরু করেছে টান। শীতের এই সময় আপনার বাড়ির খুদে সদস্যদের একটু বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, একটু ঠান্ডা লাগলেই জ্বর, সর্দি, কাশি অবধারিত। এই কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে কী করবেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন –
সিজন চেঞ্জের এই সময়ে শিশুদের খাবারে যাতে ভিটামিন সি ও আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যেমন লেবু, টমেটো, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন। আবার শীতের তাজা সবজিও খাবারে দেবেন।
ঠান্ডা লাগলে শিশুকে যত কম মাংস খেতে দেবেন, ততই ভাল। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যাতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে।
শিশুর শরীরের পক্ষে ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। বলা হয়, শিশুদের অন্তত ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এতে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিন। নিয়মিত যেন তারা স্নান করে। তবে ঠান্ডা জলে স্নান করতে দেবেন না। উষ্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। শিশু বেশি ছোট হলে তাকে রোদে গরম করা জল দিয়ে স্নান করাতে পারেন।
চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি আপনার শিশুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিশেষ করে ঠান্ডার সময়। বেশি মিষ্টতা রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি শিশুর থেকে একটু দূরেই রাখ।
ঠান্ডার এই সময়ে শিশুকে বাইরে খেলতে পাঠান। এতে যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনই মন ভাল থাকবে। তবে সন্ধের আগেই তাদের বাড়ি ফিরে আসতে বলবেন।
ঠান্ডার এই সময় শিশুদের জল খাওয়া কমে যায়। কতটা পরিমাণ এই সময় শিশুর শরীরের পক্ষে আবশ্যক তা খেয়াল রাখুন। সেই পরিমাণ জলই তাকে দিন। এতে শিশুর শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.