নারী কিংবা পুরুষ, সকলের গোপন অঙ্গের পরিচর্যায় সিটজ বাথ অতি উত্তম মাধ্যম। পদ্ধতি শিখিয়ে সচেতন করলেন গাইনোকলজিস্ট ডা. পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়।
শরীরের প্রতিটি অঙ্গের আলাদা-আলাদা যত্ন প্রণালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোপনাঙ্গের পরিচর্যা। লজ্জা আর ভয়, এই দু’টি কারণে আমাদের গোপনাঙ্গ অবহেলিত। আড়ালে অপরিচ্ছন্নতা বাড়ে, বাসা বাঁধে নানা অসুখ। নারী-পুরুষ সকলের জন্যই একথা প্রযোজ্য। তাই বিশেষ কেয়ার নিতে ‘সিটজ বাথ’ (Sitz Bath) নিন।
কী এই বিশেষ পদ্ধতি?
উষ্ণ জলে কোমরের নিম্নাংশ বা নিতম্ব ডুবিয়ে বসা। এটারই পোশাকি নাম ‘সিটজ বাথ’। শরীরের এই অংশে গরম সেঁক নানা প্রকার সংক্রমণকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে। ক্ষত সারিয়ে তুলে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এই বিশেষ নিতম্ব স্নান, আমাদের পেরিনিয়াম বা যোনিপথ ও মলদ্বার মধ্যবর্তী অঞ্চলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অতি কার্যকর।
বিশেষত, মহিলাদের সাদাস্রাব, ভ্যাজাইনাইটিস, সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ডে সংক্রমণ থেকে সিস্ট, সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড অ্যাবসেস, জ্যানাইটাল ডার্মাটাইটিস বা ত্বকের সমস্যা, হ্যামারয়েড, অ্যানাল ফিশার, পুরুষদের প্রস্টেটাইটিস, জেনাইটাল হারপিস ও ক্রনিক কনস্টিপেশনের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে নিত্য সিটজ বাথ নেওয়া ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট হিসাবে যথেষ্ট উপকারী।
এতে যে কারণে সংক্রমণ, সেটাকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না হলেও রোগের দরুণ অস্বস্তি অনেকটাই প্রশমিত করা যায়। পেরিনিয়াম অংশে নানা প্রকার ব্যাকটিরিয়া জন্মায়। যেহেতু শরীরের এই অংশ দিয়ে আমাদের সমস্ত বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়, তাই এই স্থানে খারাপ ব্যাকটিরিয়ার আধিক্য বেশি থাকে। যা নিত্য পরিচ্ছন্ন না রাখলে নানা প্রকার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
পদ্ধতি –
সিটজ বাথ নেওয়ার সবচেয়ে সোজা পদ্ধতি, বাথটব বা গামলা (Tub) ব্যবহার করা। একটা গামলা অল্প উষ্ণ জলে ভরতি করুন। তাতে শরীরের নিম্নাংশ ডুবিয়ে বসুন ১৫-২০ মিনিট। সেই জলে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপ্টিক না মেশানোই ভাল।
কখন দরকার –
ফোন- ৯৮৩৬৬৭৯২৪০
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.