ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের কচিকাচাদের সাধারণ সর্দি-কাশি হলেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন বাবা-মায়েরা। কোভিড (COVID-19) আবহে সামান্য অসুস্থতাও চিন্তা বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের। ওমিক্রনের দাপট দেখে বাবা-মায়েদের সেই চিন্তা আরও বেড়েছে। এমন আবহে শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশি হলে কী করবেন, কী করবেন না, তাদের চিকিৎসা হবে কীভাবে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইনস জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা আক্রান্ত হলেও কীভাবে চিকিৎসা হবে শিশুদের, সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনসও দিল কেন্দ্র। কী জানাল তারা?
নিয়মিত শিশুদের দেহের অক্সিজেনের মাত্রায় নজর রাখতে হবে। শিশুরা অনেক সময় পালস অক্সিমিটারে হাত রেখে নড়াচড়া করে, অল্প সময়ের মধ্যে আঙুল বের করে নেয়, ফলে সঠিক মাত্রা জানা যায় না। এই পরিস্থিতি এড়াতে বাচ্চাদের হাতের তর্জনী পরিস্কার করে পালস অক্সিমিটারে রাখতে হবে। এই সময় শিশুদের অন্যমনস্ক করে রাখতে হবে, যাতে তারা হাত না বের করে নেয় বা বারবার নড়াচড়া না করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, শিশুদের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-৯৫ মধ্যে থাকলে চিন্তার কিছু নেই। দুর্ভাবনা প্রয়োজন নেই বলছে কেন্দ্র।
শুধু অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করলেই চলবে না, একইসঙ্গে দেখতে হবে শিশুটির জ্বর আসছে কিনা। যদি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবেই তাকে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে। তবে কতটা ওষুধ শিশুকে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনদিন এই জ্বর থাকলে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলেও চিন্তার কিছু নেই, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞরা বলছে, শিশুদের নাসারন্ধ্রে প্রচুর জল থাকে। ফলে তারা খুব তাড়াতাড়ি কোভিডমুক্ত হয়ে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া কোনওরকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না। এ বিষয় অভিভাবকদের সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার ১০-১২ দিন পরও জ্বর-সর্দি থাকলে নিতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছে, শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা কমেছে। কারণ, শিশুদের নাসারন্ধ্রে প্রচুর জল থাকায় তাদের নাকের ঝিল্লি খুব পরিস্কার থাকে। ফলে ভাইরাস নাকে থাকতে পারে না।
তবে শিশুদের জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে, কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. লক্ষ্য রাখুন বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে কিনা।
২. জ্বর ১০০-এর উপরে রয়েছে কিনা। একশোর উপর জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে। অন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
৩. সাত বা দশদিনের বেশি জ্বর থাকলে অন্য চিকিৎসা করা যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.