অভিরূপ দাস: করোনার (Corona Virus) তৃতীয় ঢেউয়ে বেলাগাম সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কীভাবে হবে সংক্রমিতের চিকিৎসা, হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) থাকলে কোন নিয়ম মানবেন, কোন কাজগুলি করা একেবারে চলবে না, সেই সমস্ত তথ্য জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Health and Welfare Ministry)।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে–
- মৃদু উপসর্গ কিংবা উপসর্গহীন হলে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে পরপর ৩ দিন যেন জ্বর না আসে।
- চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কো-মর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব করোনা আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা চলবে না।
- মৃদু উপসর্গযুক্তদের দিনে তিনবার গরম জলের ভেপার নিতে হবে। করতে হবে গার্গল-ও।
- দিনে সর্বোচ্চ চারটে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। তার পরেও জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন যিনি (আয়া বা নার্স) মৃদু উপসর্গ কিংবা উপসর্গহীন করোনা রোগীর দেখভাল করবেন, তাঁর ভ্যাকসিনের (COVID-19 Vaccine) দু’টি ডোজ থাকা বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে আয়া বা নার্সিং সেন্টারকে সতর্ক থাকতে হবে। দেখভালকারী ব্যক্তিকে মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
- পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ঘরে আইসোলেশনে থাকবেন আক্রান্তরা।
- হোম আইসোলেশনে থাকা সংক্রমিতদের এন-৯৫ মাস্ক (N-95 Mask) পরার দরকার নেই। ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরলেই চলবে। প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর বদলাতে হবে মাস্ক। তার আগে ভিজে গেলে বা নোংরা হয়ে গেলে মাস্ক বদলে ফেলতে হবে।
- দেখভালকারীদের এন-৯৫ মাস্ক পরতেই হবে। রোগীর দেখভালের সময় মাস্কের সামনের অংশে হাত দেওয়া চলবে না। রোগীর (Covid-19) ড্রপলেট এড়িয়ে যেতে হবে।
- ব্যবহৃত মাস্ক এমনিতে রাস্তায় ফেলে দেওয়া চলবে না। কাঁচি দিয়ে মাস্কটিকে কুচিকুচি করে কেটে পেপার ব্যাগে ৭২ ঘণ্টা রেখে তার পর বাইরে ফেলতে হবে। একই নিয়ম বহাল থাকবে দেখভালকারীদের জন্যই।
- হোম আইসোলেশনে থাকা সংক্রমিতদের (Corona Virus) দিনে দু’বার অক্সিজেন স্যাচুরেশন, পালস রেট পরীক্ষা করতে হবে।
- বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলার বিষয়ও জারি হয়েছে নির্দেশিকা। কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, কফ, দেহ তরলের মতো পদার্থ আলাদাভাবে হলুদ ব্যাগে ফেলতে হবে। এর সঙ্গে খাবারে উচ্ছিষ্ট, ফলের খোসা ইত্যাদি মিশিয়ে ফেলা যাবে না।
- চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন নেই।