স্টাফ রিপোর্টার: অ্যান্টি বায়োটিক কখন খাবেন? খেলে ডোজ কী হবে? দশ বছরের পরে শিশুদের অ্যান্টি বায়োটিক প্রেসক্রিপশনে লিখতে গেলে কোন ধরনের ওষুধ ডাক্তারবাবু নির্বাচন করবেন? হাসপাতালে বয়স্ক অথবা গুরুতর অসুস্থদের প্রথমেই সংক্রমণ ঠেকাতে কী ধরনের অ্যান্টি বায়োটিক ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দপ্তর।
৯২ পাতার এই গাইডলাইনে সামান্য জ্বর থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট, প্রদাহ, ত্বকের রোগ, পেটের সংক্রমণ, মাথার যন্ত্রণার মতো সমস্যার ক্ষেত্রে অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ না দেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একেবারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেও এই গাইডলাইনই সুর্নিদিষ্টভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় মাঝে মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা হাসপাতালে যাবেন, রোগীদের প্রেসক্রিপশন দেখবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
বলা হয়েছে, মামুলি অ্যান্টি বায়োটিক এখন আর কাজ করছে না। ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট দেখা দিচ্ছে যক্ষ্মা রোগীদের ক্ষেত্রে। এমনকী চোখের সংক্রমণের ক্ষেত্রেও মামুলি আই ড্রপ দিয়ে আর সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। দিতে হচ্ছে আরও কড়া ডোজের (সেকেন্ড লাইন অ্যান্টি বায়োটিক)। বিশেষজ্ঞদের অভিমত এর ফলে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হৃদরোগ অথবা সেরিব্রাল স্ট্রোকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে হাসপাতাল থেকেই অনেকসময় ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ ঘটে। এই ধরনের সংক্রমণকে হ্যান্ড ওয়াশ, মাস্ক, গ্লাভস দিয়ে ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু তার বদলে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি বায়োটিক দেওয়া হয়। যা অনেকক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে যায়। গাইডলাইনে বলা হয়েছে গত ১৫-২০ বছরে আইসিইউতে থাকা রোগীদের সুস্থ করতে ৩০ শতাংশ চলতি অ্যান্টি বায়োটিক আর কাজ করছে না। বিষয়টি রীতিমতো উদ্বেগজনক। এই কারণেই স্বাস্থ্যদপ্তর গাইডলাইন বার করল। যেখানে বলা হয়েছে, যতটা সম্ভব অ্যান্টি বায়োটিক বাদ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.