Advertisement
Advertisement
mRNA-1273

mRNA-1237 প্রয়োগেই রুখবে করোনা সংক্রমণ? প্রতিষেধক তৈরি মার্কিন সংস্থার

দ্রুতই এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে।

First vaccine of Coronavirus claims to enhance immune system into human body

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 19, 2020 7:12 pm
  • Updated:May 19, 2020 7:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে রীতিমত দৌড়চ্ছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ। ছোট, বড় প্রত্যেক গবেষণাগারই নিজেদের সাধ্যমতো কাজ চালাচ্ছে। নির্দিষ্ট মাত্রায় সাফল্যও দাবি করছে অনেকে। তবে এবারের সাফল্যটা একটু বড়সড়ই। মার্কিন সংস্থা মডার্না (Moderna) একটি ড্রাগ পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাফল্য দাবি করে জানিয়েছে, mRNA-1237 ওষুধটি মানুষের শরীরে করোনার লড়াইয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। প্রথম দফায় আটজনের উপর প্রয়োগ করে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি তাঁদের। COVID-19 শরীরে প্রবেশের চেষ্টা করলেই অ্যান্টিবডি তা রুখে ভাইরাসের অস্তিত্ব লোপাট করে দেবে।

করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়ে মডার্নার এই mRNA-1237 ওষুধটি তৈরি করেছে। সেটাই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করানো হয়েছে। সংস্থার দাবি, ওই ওষুধটির মাধ্যমে COVID-19 সংক্রমণই যে রুখে দেওয়া যাবে তেমনটা নয়। কিন্তু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য এই ওষুধের গুরুত্ব আছেই। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশস ডিজিজের তরফে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ জনের মধ্যে আটজনের শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের শরীরে ওই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ​রেমডিসিভির বানাবে ভারত, ৩ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর মার্কিন কোম্পানির]

এই পরীক্ষার আরও এক গুরুত্বপূ্র্ণ পর্যবেক্ষণ রয়েছে। মডার্নার তরফে জানা যাচ্ছে, যাঁরা সদস্যই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, তাঁদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তারই সঙ্গে সমতুল্য মডার্নার সবচেয়ে কম ডোজের একজন গ্রাহকের শরীরের অ্যান্টিবডি। যাদের মাঝামাঝি ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেই তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দাবি সংস্থার। তবে প্রথম দফার এই পরীক্ষায় প্রতিষেধকের কার্যকারিতার চেয়েও তা কতটা নিরাপদ, সেটা বুঝে নেওয়াই মূল লক্ষ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থার চিফ মেডিক্যাল অফিসার টাল জ্যাকসের কথায়, ”এই প্রথম দফার পরীক্ষা থেকে আমাদের এই বিশ্বাস জন্মেছে যে এই mRNA-1273 ভ্যাকসিন COVID-19’এর সঙ্গে লড়তে পারবে।” জুলাইতে আরও বড় আকারে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। আর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা চালু হয়ে গিয়েছে। দেখা যাক, কত দ্রুত তা হয়।

[আরও পড়ুন: হরমোনের তারতম্যেই লকডাউনে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের শিকার মহিলারা, জেনে নিন মুক্তির উপায়]

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement