সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) থাবায় তো কবে থেকেই স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার পাট চুকেছে। সব কাজই হচ্ছে বাড়ি থেকে। স্কুলের পড়াশোনাই বলুন কিংবা চাকরি, করোনা কালে যে শব্দটি অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়েছে, তা হল – ওয়ার্ক ফ্রম হোম (WFH)। আর এই কাজের জন্য হেডফোন (Headphone) ব্যবহার প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। বিশেষত অনলাইন ক্লাসে শিক্ষকের পড়ানো বুঝতে পড়ুয়াদের তো হেডফোন লাগছেই। কিন্তু জানেন কি, দিনের বেশিরভাগ সময়ে হেডফোন ব্যবহার অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছে? বিশেষত শিশু ও কিশোরদের। কানের নানা রোগে ভুগছে তারা, অনেকের শ্রবণে সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
গত সাত, আট মাস ধরে দৈনন্দিন জীবনে অনেক বদল এসেছে। বাইরে বেরনো বন্ধ। ঘরে বসেই যতটুকু পড়াশোনা কিংবা কাজ। কিশোর কিংবা সদ্য তরুণ প্রজন্মের নাগরিকদের মধ্যে ইদানিং হেডফোনের ব্যবহার বেড়েছে এবং তা অনেকটা কাজের স্বার্থেই। বাড়িতে বসে অফিসের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেওয়া বলুন, কিংবা ইন্টারভিউ অথবা ছোটদের অনলাইন ক্লাসে পড়া বা পড়ানো – সবেতেই হেডফোনের ব্যবহার সুবিধাজনক।
শুধু কি শব্দের তীব্রতার কারণে শ্রবণে সমস্যা? মোটেই নয়। হেডফোন ব্যবহারের হাত ধরে আরও নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়তে পারি আমি, আপনি। বলা হচ্ছে, হেডফোন ব্যবহারের পর পরিষ্কার না করে বারবার যদি তা কানে লাগিয়ে কাজ করেন, তাহলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর হেডফোনও স্যানিটাইজ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া ভালভাবে কানও পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। নাহলে দিনশেষে কানের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন। বিশেষত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এসব যত্ন নিতেই হবে অভিভাবকদের।
ডাক্তার চৌহানের আরও বক্তব্য, মাঝেমধ্যেই কান থেকে হেডফোন খুলে শুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করতে দিন। আরেক ENT বিশেষজ্ঞ রাহুল কুলকার্নির মতে, বাচ্চাদের একেবারেই হেডফোন ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। অনলাইন ক্লাসে ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপের স্পিকারের শব্দই যথেষ্ট। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে, সামান্য হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন তো আশু কর্তব্য, অভিভাবকরা নিজেরাও সাবধান হোন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.