সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ। তাতেই জ্বলছে বাংলা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেও আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না। ৭ জেলায় জারি লাল সতর্কতা। এমন গরমে শরীরের হাল বেহাল। যেখানে-সেখানে ফোড়ার যন্ত্রণা। সাধারণত, শরীরের যে অংশে আর্দ্রতা বেশি এবং যেখানে অতিরিক্ত ঘাম হয় সেখানেই ফোঁড়া হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি কাজে লাগে তা হলুদ। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ রয়েছে তা কম-বেশি অনেকেরই জানা। ফোঁড়ার ক্ষেত্রে হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তা ফোঁড়ার জায়গায় লাগিয়ে অন্তত তিরিশ মিনিট রেখে দিন। অল্প সময়েই ফল পাবেন। এই মিশ্রণ ব্রণর ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
ফোঁড়ার আরেক শত্রু নিমপাতা। এই পাতা নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। বেটে নিয়ে ফোঁড়ায় লাগানো যায়। আবার এই তাপপ্রবাহের সময় যখন ঘামে শরীর জেরবার হয়ে যায়, তখন নিমপাতা জলে মিশিয়ে স্নান করা ভালো। ১০-২০টা পাতা নিয়ে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। তা ঠান্ডা করে স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে নেবেন। লবঙ্গ, তেজপাতা, নিমপাতা, তুলসিপাতা আর হলুদ একসঙ্গে ফুটিয়ে স্নান করলেও নাকি উপকার পাওয়া যায়।
করঞ্জ তেল বা করঞ্জা তেলের নাম শুনেছেন? এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। ফলে এটি ফোঁড়া এবং একজিমা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ক্ষত নিরাময়ে প্রয়োগ করা হয়। চর্মরোগেও নাকি এর বাহ্যিক প্রয়োগে আশাতীত ফল পাওয়া যায়।
কোথাও ফোঁড়া হলে জোর করে গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সহ্য করতে পারবেন এমন গরম জলের সেঁক দিন। অনেকে এই জলের সঙ্গে অ্যান্টিসেপ্টিক মিশিয়ে নেন। তবে নুন মেশানো সবসময় ভালো। তাতে নাকি ‘বিষে বিষক্ষয়’-এর মতো কাজ হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.