সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের গোড়া থেকে অতিমারীর সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে বিশ্ববাসীর। বছর ঘুরে গেলেও দাপট কমেনি মারণ ভাইরাসের। বরং বারবার ভোলবদলে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে সে। আর এই ভাইরাস ঠেকানোর সবচেয়ে বড় অস্ত্র এখন ভ্যাকসিন। বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই চলছে টিকাকরণ। কিন্তু অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই প্রশ্ন উঠছে, জোড়া ডোজ নেওয়ার পরও কি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বুস্টারের প্রয়োজন? এবার তা নিয়েই মুখ খুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিজ্ঞানী।
করোনা (Corona Virus) রোগী চিহ্নিত করতে টেস্টিংয়ের পাশাপাশি চলছে টিকাকরণও। কিন্তু টিকার দুটি ডোজই অতিমারীকে বিনাশ করতে সক্ষম কি না, নাকি প্রয়োজন বুস্টারের, এ প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে আমজনতা। কী এই বুস্টার? ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে যাঁদের, তাঁরাই বুস্টার শট নিতে পারবেন। এতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এ প্রসঙ্গেই WHO-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বুস্টার ডোজ নেওয়া কি খুবই জরুরি? নাকি দুটি ডোজেই কাজ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, বুস্টার শটটি (Booster Shot) অত্যন্ত প্রয়োজন নাকি না হলেও চলে, এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য তাঁদের হাতে নেই। তাই বুস্টার শট নিতেই হবে, এমন পরামর্শ এখনই কাউকে দেওয়া যাবে না।
তবে এ বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে বলেই জানান সৌম্য স্বামীনাথন। শীঘ্রই হয়তো কোনও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে। তাঁর আরও বক্তব্য, এখনও বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষ টিকার দুটি ডোজ পাননি। ফলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বুস্টারের প্রয়োজনীয়তা যে নেই, তাও একেবারে বলা যাবে না।
শোনা যাচ্ছে, কোভিড মোকাবিলায় শীঘ্রই ব্রিটেন একটি বুস্টার ডোজ চালু করতে পারে। আবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও নাকি আমেরিকান সংস্থা ফাইজার/বায়োএনটেকের একটি বুস্টার শট তৈরি করছে। তবে ভারত এখনও পর্যন্ত এমন কোনও পদক্ষেপ করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.