শিশুরাও বাদ নেই। কারণ কারও জিনগত, কারও আবার স্থূলতা। তাই সন্তান জন্মের আগে থেকেই এই ব্যাপারে বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। একবার ডায়াবেটিস ধরলে সারা জীবনটাই রোগে ভরা। তাই সতর্ক করলেন জি ডি হসপিটালের ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান ডা. সুজয় মজুমদার। শুনলেন সুমিত রায়।
শুধু বয়স্কদেরই নয় এখন ডায়াবেটিসের সাঁড়াশি আক্রমণে শিশুরাও। কাজেই ছোট বলে এক্ষেত্রে যেমন-তেমন ভাবার কোনও কারণ নেই। শিশুদের মধ্যে মূলত চার ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
শিশুর মধুমেহ
কখন প্রয়োজন টেস্ট
শিশুদের ক্ষেত্রে যে প্রধান লক্ষণগুলি দেখা দেয় সেগুলি হল-
টাইপ-১- এর ক্ষেত্রে
রোগ প্রতিরোধ কখন?
শৈশবে হলে কি সেরে যায়?
টাইপ-ওয়ান বা টাইপ টু ডায়াবেটিস একবার হলে সারাজীবনই এই অসুখ বয়ে বেড়াতে হয়। নিওনেটাল ডায়াবেটিসের একটি ধরণ হল ট্রানজিয়েন্ট ডায়াবেটিস।
এই রোগে আক্রান্তদের ৫০ শতাংশ রোগীরই ৪-৫ মাসের মধ্যেই একটা সাময়িক নিরাময় হয়। কিন্তু আবার এদের ডায়াবেটিস ফিরে আসে ৫-৬ বছর বয়সে বা বয়ঃসন্ধিকালে।
সুরাহা কিসে?
ট্রানজিয়েন্ট ও টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনই একমাত্র ওষুধ। নিওনেটাল ডায়াবেটিসের কিছু ক্ষেত্রে Sulsomylurea- জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। বাকিগুলির ক্ষেত্রে ইনসুলিনই ভরসা। এম ও ডি ওয়াই এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ওষুধই ভরসা।
সাধারণ সাবধানতা
১) বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক থাকুন।
২) শিশুর ওজন বাড়লে চলবে না।
৩) শিশুকে রোজ খেলাধুলো বা এক্সারসাইজ করানো দরকার।
৪) শিশুকে সুষম খাদ্য দিন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়ানোর সময় তার জিআই অর্থাৎ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (খাবারে উপস্থিত সুগারের মাত্রা) জেনে খাওয়ান।
৫) ফাস্ট / জাঙ্ক / প্রসেসড ফুড না খাওয়ানোই ভাল।
রোগ ধরে গেলে!
অবাধ্য নয়
যে শিশুরা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছয় তখন তাদের একটু আলাদা রকম গাইডেন্স এবং কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন। কারণ টাইপ ওয়ানের ক্ষেত্রে সঠিক সময় মতো নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়। জীবনশৈলীতে নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। এই বয়সে এত রকমের বারণ খুব মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মাঝেমধ্যেই শিশু অবাধ্য হলে নিষিদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করে দেয়। এমন পরিস্থিত তৈরি হলে শিশুকে বোঝাতে হবে। না হলে হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করা দরকার। বোঝাতে হবে যে খুব ইচ্ছে হলে তখন একটু নিয়ম ভাঙা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ইনসুলিনের ডোজ বাড়াতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.