ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার টিকাকরণ। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ২০ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। মূলত ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিন ও দেশে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডই দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকার অভাবে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এই সমস্যা মেটাতে অভিনব পন্থা বের করার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। জোড়া ডোজের বদলে যদি কোভিশিল্ডের একটি ডোজেই করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যায়! এক্ষেত্রে একদিকে যেমন বাঁচবে অনেকখানি সময়, তেমনই টিকাকরণ নিয়ে আমআদমির ঝক্কিও কমবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোভিশিল্ডের একটি ডোজই কি যথেষ্ট হবে?
রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিকভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি সিঙ্গল ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্তই হয়েছিল। কিন্তু গবেষণার পর দেখা যায়, জোড়া ডোজে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। সেই কারণেই কোভিশিল্ডের (Covishield) দু’টি ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আবার দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধানও বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে বলা হয়েছিল, প্রথম ডোজের ৪-৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে, সেখানে বর্তমানে সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ১২-১৬ সপ্তাহ। কিন্তু যাতে টিকার একটি ডোজেই কাজ হয়, সে পরিকল্পনাই করছে কেন্দ্র।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অফ ইমিউনিজেশনের (NTAGI) করোনা সংক্রান্তা বিভাগের চেয়ারম্যান এনকে আরোরা জানান, কোভিশিল্ডের একটি ডোজ ঠিক কতখানি কার্যকরী, তা খতিয়ে দেখা হবে। রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক লাইট, জনসন অ্যান্ড জনসন টিকার গোত্রেই পড়ে কোভিশিল্ড। তাই সেই ভ্যাকসিনগুলির মতো সেরামে ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ডও একটি ডোজেই ‘বাজিমাত’ করতে পারে কি না, তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা হবে।
এরই মধ্যে আশার কথা শোনালেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অধ্যাপক জ্ঞানেশ্বর চৌবে বলেন, “আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করে দেখেছি, করোনাজয়ী কিংবা এখনও কোভিড আক্রান্ত হননি, এমন ব্যক্তির জন্য টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। টিকা নেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে যে অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়, তাতেই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।” তাই কেন্দ্রের পরীক্ষায় ইতিবাচক সাড়া মিললে ভবিষ্যতে কোভিশিল্ডের একটি ডোজও দেওয়া হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.