Advertisement
Advertisement

Breaking News

Vaccine

আশা জাগাচ্ছে BioNTech, কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ‘সফল’

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে ।

Covid-19 vaccine from Pfizer and BioNTech shows positive results
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 2, 2020 10:30 am
  • Updated:July 2, 2020 10:33 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা জাগাচ্ছে ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা Pfizer এবং জার্মান বায়োটেক সংস্থা BioNTech-এর কোভিড ভ্যাকসিন। বুধবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মিশ্র ফল মিলেছে। যাঁদের উপর এই ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বেড়েছে অনেকটাই। দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডিও (Antibody)।  অনেকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে তা প্রাণঘাতী নয়। ফলে সংস্থা দুটির দাবি, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ অনেকাংশেই সফল। যদিও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

Pfizer এবং BioNTech-এর কোভিড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল MedRXiv-এ বুধবার প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, মোট ৪৫ জনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ  করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রথম ১২ জনকে ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১২ জনের উপর ৩০ মাইক্রো গ্রামের ডোজ, ১২ জনকে ১০০ মাইক্রোগ্রামের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। বাকি নজনকে placebo দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের উপর ১০০ মাইক্রোগ্রামের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেরই জ্বর, মাথাব্যথা, ঘুম নষ্ট হওয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনার মোক্ষম ‘দাওয়াই’! মৃত্যু কমাতে রাতভর প্রাণায়াম করানো হচ্ছে রোগীদের]

তিন সপ্তাহ পরে ওই ৪৫ জনের উপর ফের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছিল যাঁদের, তাঁদের মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ৩০ মাইক্রোগ্রাম প্রয়োগ করা হয়েছিল যাঁদের উপর তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ব্যক্তির জ্বর এসেছে। সব মিলিয়ে এই ভ্যাকসিন যাঁদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে তার কোনওটাই প্রাণঘাতি নয়। বা হাসপাতালে ভরতি করার মতো নয়।

[আরও পড়ুন : করোনার ওষুধ নয় Coronil! প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতেই ‘ডিগবাজি’ পতঞ্জলির]

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনটি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর জীবাণুর বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি করে দেয়। আবার আক্রান্তের শরীরে এমন কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা এই জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। বলা হচ্ছে, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ১.৮-২৮ গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। তবে এই এটা কি করোনামুক্ত করতে কাজ দেবে, কিংবা এই ভ্যাকসিন নিলে করোনাকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে কি, তা জানা এখনও বাকি। সে বিষয় জানতে নতুন করে পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement