সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) প্রতিরোধে আশার আলো। বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড়সড় সাফল্যের দাবি মার্কিন সংস্থা ফাইজার (Pfizer) ও জার্মান বায়োএনটেকের। প্রাণঘাতী ভাইরাসকে সবংশে নির্মূল করার আশা জাগিয়ে এই দুই সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কোভিড-টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফলাফল ৯০ শতাংশ অতি-কার্যকর। এমনই দাবি তাদের। যেদিন পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি পেরিয়েছে এবং ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে, সেদিনই ভ্যাকসিন নিয়ে এই সুখবর মিলেছে।
ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, “পৃথিবীজুড়ে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের ফলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে মুক্তি দিতে আমাদের প্রতিষেধক সংক্রান্ত গবেষণায় তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য মিলেছে। আমরা আমাদের গবেষণায় নতুন মাইলফলক ছুঁতে পেরেছি। ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফলাফলই তার প্রমাণ। আজকের দিনটি মানবজাতি তথা বিজ্ঞানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।” আবার ফাইজারের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম গ্রুবার জানিয়েছেন, “গবেষণায় অসাধারণ ফল মিলেছে। আমি আশাবাদী, এবার অতিমারীকে আমরা কড়া হাতে মোকাবিলা করতে পারব।”
মার্কিন-জার্মান যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি প্রতিষেধকটি (Corona Vaccine) তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ৪৩,৫৩৮ জনকে দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হয়েছিল। এদিন ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে টিকার সাফল্যের কথা ঘোষণা করা হয়। ফাইজার জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, এই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিনের মধ্যে আর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সংস্থার দাবি, তারা চলতি বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের পাঁচ কোটি ডোজ বিভিন্ন দেশে পাঠাবে। ২০২১ সালের মধ্যে ১৩০ কোটি প্রতিষেধক তৈরির টার্গেট রয়েছে তাদের।
এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্পেশ্যালিস্ট এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজিস্ট ডা. শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেছেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধকের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফলাফল যে ৯০ শতাংশ কার্যকর ছিল বলে জানা গিয়েছে, সেই খবর অত্যন্ত ইতিবাচক। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, এই প্রতিষেধকের প্রয়োগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও কোনও খবর নেই। আমি মনে করি, এই রিপোর্টের ভিত্তিতে, আমেরিকায় এই প্রতিষেধক জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার হতে পারে।”
ভ্যাকসিন এসে যাওয়া মানে কোভিড নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং সরকারি কোষাগারের খরচও কমবে। এই প্রত্যাশা থেকেই ফাইজারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সোনা ও রুপোর দাম কমতে থাকে। ভারতের বাজারে প্রতি দশ গ্রাম তথা এক ভরি সোনায় হাজার টাকা দাম কমে যায়। এক কেজি রুপোয় দাম কমে দু’হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.