সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বর মানেই তো উৎসবে রং৷ ক্রিসমাস থেকে শুরু করে বর্ষবরণের পার্টি৷ আঠারোর পালা শেষ হয়ে উনিশে পা৷ এবার ডিসেম্বরেই শহরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে৷ যাতে উৎসবের আমেজও হয়েছে দ্বিগু৷ আর এমন মরশুমে কি আর হাত গুটিয়ে, জিভ শুকিয়ে বসে থাকা চলে? না, একেবারেই না৷ বছর শেষের কয়েকটা দিন ডায়েট ভুলে শুধুই হুল্লোড়ের পালা৷ কেই বা চাইবেন না, একটু উল্লাসের পাত্রে চুমুক দিতে!
সে তো না হয় হল৷ কিন্তু তার পরদিনই যে আবার অফিস৷ সে খেয়ালও তো রাখতে হবে? পারবেন, আগের দিন গলা পর্যন্ত উৎসবে ডুবে থেকে পরদিন হ্যাংওভার কাটিয়ে সাতসকালে অফিসে পৌঁছতে? আলবাত পারবেন৷ এই সহজ পাঁচ উপায়ে৷
জল – সকালবেলা উঠে যখন মনে হবে আগের দিন অতটা খেলেও পারতেন, তখন আপনার মাথাব্যথার একমাত্র ওষুধ জল৷ আজ্ঞে হ্যাঁ, বিশুদ্ধ পানীয় জলেই শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে রাতের যাবতীয় টক্সিন৷
কলা – এই ফলের গুণগান বারবার গেয়েও শেষ হওয়ার নয়৷ রাতের উচ্ছ্বাসের পর সকালে উঠতে গিয়ে চট করে অনেকের মাথাই ঘুরে ওঠে৷ চটজলদি একটা-দু’টো কলা খেয়ে নিন৷ পেট শান্ত থাকলে, হ্যাংওভারও বিদায় নেবে৷
মধু – মধুর রাত কাটানোর পর সকালে মধুই আপনার একমাত্র অমৃত হতে পারে৷ অনেকেই জানেন না পটাশিয়াম ছাড়াও মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে৷ তাই হ্যাংওভার কাটাতে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার বদলে এই প্রাকৃতিক ওষুধ টোস্ট কিংবা বিস্কুটের উপর লাগিয়ে খেয়ে ফেলুন৷
তাজা ফলের রস – অ্যালকোহল মানুষের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়৷ ফলে সকালে উঠলে অনেকেরই দূর্বল লাগে৷ এই সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় এমন তাজা ফলের রস খাওয়া যাতে গ্লুকোজ রয়েছে৷
গরম স্যুপ – খুব বেশি হ্যাংওভার কাটাতে এর থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না৷ ধোঁয়া ওঠা গরম স্যুপের স্বাদ ও গন্ধে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে আপনার শরীর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.