স্টাফ রিপোর্টার: কখনও চড়েছে তাপমাত্রার পারদ। কখনও এক ধাক্কায় পারদ পতন হয়েছে বেশ কয়েক ডিগ্রি। আর এই ঠান্ডা—গরমের তারতম্যেই শরীর বেগড়বাই। নাক থেকে অনর্গল জল ঝরছে, গলা খুসখুস, গা—হাত—পায়ে অসহ্য ব্যথা, থার্মোমিটার বগলে দিলেই পারদ চড়ছে ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি। মাথায় জলপট্টি, এমনকী স্নান করালেও জ্বর নামছে না। ছুটতে হচ্ছে ডাক্তারখানায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা ভাইরাল ফিভার। আবহাওয়ার তারতম্যে মাথাচাড়া দিয়েছে রোটাভাইরাস, নরোভাইরাস, অ্যাডিনোভাইরাসরা। ঘরে ঘরে তাই ভাইরাল ফিভার (Fever)।
এসএসকেএম হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সুজয় পাল জানিয়েছেন, অন্যান্য ভাইরাল ফিভার তো বটেই, সঙ্গে ডেঙ্গু, কোভিড, সোয়াইন ফ্লু-ও হচ্ছে আকছার। জ্বরের বাড়বাড়ন্তের জন্য আমজনতার গা—ঢিলেমিকেও দায়ী করছেন অনেকে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, জ্বর এলেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করার নিদান দিয়েছেন তিনি। সাধারণ ভাইরাল ফিভার, কোভিড, ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু- সব রোগেরই উপসর্গ কমবেশি একরকম। কোন অসুখে জ্বর হয়েছে, টেস্ট না করে ধরতে পারা অসম্ভব। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেতে নিষেধ করছেন ডাক্তাররা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল জমেছে একাধিক জায়গায়। ডেঙ্গু রোগীও দেখা যাচ্ছে অগুনতি। ডা. সুজয় পালের কথায়, কোভিড আর ডেঙ্গু দু’টি রোগই ভাইরাসঘটিত হলেও, ছড়ানোর পদ্ধতি আলাদা। কোভিড ড্রপলেটের মাধ্যমে নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে। আবার মশার কামড়ে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। তাতে সহজেই শরীরে ড্রপলেট ঢুকছে। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, প্রতি বছরই এই সময়টায় শিশুদের জ্বর হয়। বিভিন্ন ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএস ভাইরাস এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় শিশুরা। অবশ্যই মশারি টাঙান।
কী করে বুঝবেন কোন জ্বর?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.