Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cancer

ডাউন সিনড্রোমের উপর ক্যানসারের থাবা, আপনার আর্থিক সাহায্যই বাঁচাতে পারে মেকালাকে

জেনে নিন কীভাবে আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন আপনিও।

Already struggling with Down Syndrome, Mekala now has to fight with Cancer | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 26, 2021 1:28 pm
  • Updated:March 5, 2021 9:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেকালা। মিষ্টি মুখের হাসি-খুশি মেয়েটি সংসারে আসায় মা-বাবার আনন্দের সীমা ছিল না। যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবারের আনন্দ দ্বিগুণ করেছিলেন মেকালার মা। কিন্তু সেই সুখ যে এমন ক্ষণস্থায়ী হবে, কেউ টেরও পায়নি। জোড়া দুঃসংবাদ এক নিমেষে পরিবারের সমস্ত আনন্দ কেড়ে নিয়েছিল। প্রথমে ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে শুরু করে ছোট্ট মেকালা। এরপর অভিভাবকদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে চিকিৎসক জানান, শিশুটির শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ কর্কট রোগ। মেকালার চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রায় সর্বস্ব খোয়াতে বসেছেন বাবা-মা। তবে আপনিই পারেন তাকে জীবনের মূলস্রোতে ফেরাতে। আপনার আর্থিক সাহায্যই ছোট্ট মেকালা ও তার পরিবারের মুখে হাসি ফেরাতে পারে।

অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।

Advertisement

জন্মের পরপর সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে নানা ধরনের সমস্যা অনুভব করতে শুরু করে মেকালা। পরিবেশের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে নিতে পারত না সে। মস্তিষ্ক আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো কাজ করত না। ফলে চারপাশে কী ঘটছে না ঘটছে, বুঝে উঠতে বেশ বেগ পেতে হত মেকালাকে। আর সেই কারণেই ভীষণ ভয় পেত সে। মেয়ের যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে মায়ের মন। জানান, “ডাউন সিনড্রোম ধরা পড়েছিল বলে কিন্তু ওর প্রতি আমাদের ভালবাসা এতটুকু কমে যায়নি। বরং ওর কষ্ট দেখে ওকে আরও বেশি করে কাছে টেনে নিয়েছি। আমি আর আমার স্বামী এখনও বিশ্বাস করি, ও আমাদের কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। যদি আগেভাগে বুঝতে পারতাম এমন কোনও কঠিন রোগে ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরবে, তাহলে হয়তো আগেই মেয়েকে সুস্থ করে তোলার কোনও উপায় খুঁজতাম।” তবে কষ্টের এখানেই ইতি ঘটেনি। বরং তা আরও বেড়েছে।

১৮ বছর বয়স থেকেই নতুন সমস্যার সূত্রপাত। অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ত। ঠিকমতো হাঁটতেও পারত না। প্রতিদিনই গায়ে জ্বর থাকত। মেকালার মায়ের মন সেই সময় কু ডেকেছিল। আঁচ করেছিলেন, এ বড় কোনও ঝড়ের পূর্বাভাস। সময় নষ্ট না করে মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা মেলেনি। ফলে মেকালাকে নিয়ে সোজা চেন্নাই পৌঁছন তার অভিভাবক। সেখানেও সহজে মেলেনি চিকিৎসা। দিনের পর দিন এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল ছুটতে হয়েছে তাঁদের। যার জন্য নিজের কাজও বিজর্সন দিতে হয় মেকালার বাবাকে। ফলে চরম অর্থাভাবে ভুগতে শুরু করে পরিবার। কিন্তু কাজের চেয়েও যে মেয়ের জীবন অনেক বেশি মূল্যবান।

অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।

শেষমেশ এক চিকিৎসক মেয়েকে দেখতে রাজি হন। অনেকগুলো টেস্টের পর আসে দুঃসংবাদ। ডাক্তার জানান, বি-সেল অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকমিয়ায় (B-cell acute lymphoblastic leukemia) আক্রান্ত মেকালা। “এটি ব্লাড ক্যানসারের একটি ধরন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই ক্যানসার ভীষণ বিপজ্জনক। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকবার কেমোথেরাপি নিতে হবে ওকে।” আজও চিকিৎসকের বলা কথাগুলো কানে বাজে মেকালার মায়ের। ডাউন সিনড্রোমের জন্য মেকালার প্রতি অনেকে অতিরিক্ত সহানুভূতি দেখান। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই মেয়েকে বড় করে তুলছিলেন তার মা। তবে ক্যানসারের সঙ্গে কীভাবে লড়বেন, আর যেন বুঝে উঠতে পারছেন না। রোজ চোখের সামনে মেয়েকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে দেখেন। সর্বস্ব নিয়ে মেকালাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বাবা-মা। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য ২০ লক্ষ টাকা কোথায় পাবেন তাঁরা? ভেবে কূল কিনারা পান না। একটি ওষুধের কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে কোনওমতে সংসার চালান মেকালার বাবা। মাসিক বেতন মাত্র ৫ হাজার টাকা। মেয়েকে সুস্থ করতে ইতিমধ্যেই সমস্ত গয়না বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরই আপনাদের সামনে হাত পাতছেন তাঁরা। মেয়ের প্রাণভিক্ষা চাইছেন। আপনার যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্যই মেকালাকে সুস্থ জীবনে ফেরাতে পারে। মানুষই তো মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এক অসহায় পরিবারকে ভরসা দেওয়ার চেয়ে বেশি তৃপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে!

মেকালার অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি মেডিক্যাল দল। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও রয়েছে। অনুদানের আগে আপনিও চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন। কিংবা মেডিক্যাল টিমের আয়োজকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।

চ্যারিটি নম্বর: 81686364
বিঃ দ্রঃ- এই অনুদান 80G, 501(c) ইত্যাদি কর ছাড়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement