Advertisement
Advertisement
Tomato Flu

কী এই টম্যাটো ফ্লু? কীভাবে সতর্ক থাকবেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত

বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ফ্লুতে।

All you need to know about tomato fever | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:May 25, 2022 8:36 pm
  • Updated:May 25, 2022 8:50 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: এতদিন গ্রামের শিশুরা সংক্রমিত হত। কিন্তু এখন খাস কলকাতার খুদেরাও আক্রান্ত হচ্ছে ভাইরাস ঘটিত ‘হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ রোগে। চলতি কথায় কেউ বলেন, ‘টম্যাটো ফ্লু’ (Tomato Flu)। তবে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ হোক বা ‘টম্যাটো ফ্লু’ বাড়ির ছোট্ট সদস্যকে কিন্তু সাবধানে রাখতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভাইরাস ঘটিত রোগ। তাই যেহেতু ছোটদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করার চলন নেই বললেই চলে। তাই একজনের হলে দ্রুত তার সঙ্গীসাথীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠোঁট, হাত, পায়ের তলায় জলভরা ফুসকুড়ি, সঙ্গে জ্বর-রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ বা উত্তর ২৪ পরগনার সাগর দত্ত অথবা খাস কলকাতার কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক বিভাগে এই রোগ নিয়ে হাজির শিশুরা। সঙ্গে বাবা,মা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রথমে দেখে মনে হবে চিকেন পক্স। সেই অনুযায়ী চিকিৎসাও হয়। কিন্তু এমনটা ভাবলেই ভুল। আদতে ‘হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ আক্রান্ত বাড়ির খুদেটি।

Advertisement

রোগের উৎস একটি ভাইরাস। নাম ‘এন্টিরো’ বা ‘কক্সসেকি’ ভাইরাসের সংক্রমণ এই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। মূলত ২ থেকে ১২ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। গত সাতদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগে ভাইরাস ঘটিত এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রথমে ঘুসঘুসে জ্বর। ২-৩ দিনের মধ্যে জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকে। কখনও ১০২ ডিগ্রির বেশি হয়। সঙ্গে হাতের তালু,হাঁটু, ঠোঁট, মুখের ভিতরে লালচে জলভরা গোটা। অনেকের আবার গায়ে র‌্যাশ ওঠে।

[আরও পড়ুন: ঘনঘন ভুলে যাচ্ছেন? প্রিডিমেনশিয়া নয়তো? জেনে নিন বিশেষজ্ঞর মতামত ]

মা, ঠাকুরমারা প্রথমেই ভাবেন জলবসন্ত। তাই প্রথমেই মাছ, মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেন। আর তাতে সমস্যা আরও বাড়ে। বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রভাসপ্রসূন গিরি। ডা. গিরির কথায়, “আসলে শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের থেকে কম। তাই মাছ, মাংস খাওয়া বন্ধ করলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই এই ধরনের শারীরিক সমস্যা শুরু হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। একই অভিমত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেলেঘাটা আইডির উপাধ্যক্ষ ডা. আশিস মান্নার। আশিসবাবুর কথায়, “বর্ষার সময় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এই দু’টি ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়। ভাইরাসঘটিত রোগ তাই দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। আশিসবাবুর কথায়, “জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হলে বুক, পেটে লালচে গোটা হবে। এবং গোটাগুলি শক্ত। কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ হলে শুধুমাত্র হাত, পা ও মুখের ভিতরে জলভরা গোটা হবে। সঙ্গে জ্বর। বাচ্চা খেতে পারবে না যন্ত্রণায়। রোগ মারমুখী হলে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। রোগ ঠেকাতে এই সময়ে বাচ্চাদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ কখনওই নয়। বরং জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং র‌্যাশ কমাতে ক্যালামিন জাতীয় লোশন দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন: প্যান্টের পকেটে মোবাইল রাখছেন? জানেন কমতে পারে শুক্রাণুর গুণমান! ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যাত্ব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement