Advertisement
Advertisement
চিকিৎসা

‘ব্যথা’ বুঝতে কলকাতায় জার্মান তরুণী, দেবেন উপশমের পরামর্শও

‘ইউনিভার্সিটি অফ মারবার্গ’-এর সাইকোলজি বিভাগের পড়ুয়া ওই তরুণী।

A student of university of marburg visited kolkata
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 20, 2019 11:15 am
  • Updated:September 20, 2019 11:15 am  

গৌতম ব্রহ্ম: বাংলার ‘ব্যথা’ বুঝতে কলকাতায় হাজির জার্মান তরুণী।
ব্যথা কয় প্রকার, কার তীব্রতা কত, নিক্তিতে মেপে ‘কোডিং’ করলেন। ব্যথার সঙ্গে মনের সংযোগ বুঝে কলকাতার চিকিৎসকদের বোঝানোরও চেষ্টা করলেন।

[আরও পড়ুন:সিআইডি অফিসারের ছেলেকে পিটিয়ে খুন, বিক্ষোভ-পালটা বিক্ষোভে উত্তপ্ত পুরুলিয়া]

বিয়াত্রিচ করউইসি। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু) ও ‘আইএএসপি’–র মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ মারবার্গ’-এর সাইকোলজি বিভাগের এই তরুণী। দিন সাতেক আগে বিয়াত্রিচ ব্যথা নিয়ে গবেষণা করতে আসেন কলকাতায়। ঘাঁটি গাড়েন শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের ‘পেন ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’–এ। এখানে ব্যথায় কাতর রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধ থেকে ‘লো ব্যাক পেন’–এর শিকার হওয়া যুবক, একশো রোগীর সঙ্গে কথা বলেন বিয়াত্রিচ। তথ্য সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি। প্রতিটি ব্যথার আলাদা করে কোডিংও করেন। যেমন ‘ক্রনিক প্রাইমারি লো ব্যাক পেইন’–এর কোড ‘এমজি৩০.০২–এ’, ‘ক্রনিক ক্যানসার পেইন’ হল এমজি৩০.১০। এগুলো সবই ‘আইসিডি–১১’–র অন্তর্ভুক্ত ব্যথার আন্তর্জাতিক ভাষা।

Advertisement

সম্প্রতি ব্যথাকে রোগ হিসাবে মান্যতা দিয়েছে হু। আইসিডি১১–য় শুরু হয়েছে ব্যথার শ্রেণিবিন্যাস। শুরু হয়েছে কোডিং। ভারত, কিউবা ও নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন বিয়াত্রিচ। এদিন শিয়ালদহে গিয়ে দেখা গেল, বিমান ধরার জন্য তোড়জোড় করছেন তিনি। হায়দরাবাদের একটি পেইন ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে সাতদিন থাকবেন। তারপর উড়ে যাবেন নিজের দেশে। পেন ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ডা. সুব্রত গোস্বামী জানালেন, “ব্যথার সঙ্গে মনের সংযোগ অত্যন্ত নিবিড়। এই বিষয়টি বিয়াত্রিচ চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে হরেক ব্যথার ‘কোডিং’–ও করা হয়েছে।” ঠিক হয়েছে, এবার থেকে ব্যথার চিকিৎসায় মনোচিকিৎসকদের যুক্ত করা হবে। ব্যথার উৎস খুঁজে বের করা হবে। সুব্রতবাবুর সহকারী ডা. গার্গী নন্দী জানান, একশোজন রোগীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫–৬জন ক্যানসার আক্রান্ত। বেশিরভাগেরই ‘মাসকিউলো স্কেলেটাল পেন’। ১০ জন ‘পোস্ট সার্জারি পেইন’–এর শিকার । রয়েছেন আর্থারাইটিস রোগীও। বিয়াত্রিচ জানালেন, রোগ হিসাবে ব্যথা মান্যতা পাওয়ায় চিকিৎসা প্রোটোকল ঠিক করতে অনেক সুবিধা হবে। দেশ–কাল–ভাষা নির্বিশেষে সবাই অভিন্ন কোড ব্যবহার করবে। ফলে, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় অনেক সুবিধা হবে। বিমা সংস্থাগুলির কাজ করতে সুবিধা হবে।

[আরও পড়ুন: বৃষ্টি কি বাদ সাধবে পুজো প্রস্তুতিতে? জেনে নিন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement