সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম সন্তানের তখন বয়স ২১ বছর। হঠাৎই একদিন পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছিল মায়ের। আর এখন প্রতিনিয়ত আশঙ্কায় ভোগেন, দ্বিতীয় সন্তানকে বাঁচাতে পারবেন তো? ছেলে বড় হয়ে উঠবে তো? নাকি আরও এক সন্তানের মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে তাঁকে! প্রশ্নটা মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করতেই থাকে। কারণ তাঁর ৬ বছরের ছেলে মারণ কর্কট রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে উঠতে অপারগ অভিভাবক। একমাত্র আপনিই পারেন সংকটের দিনে এই পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। জগন্নাথকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
জন্মের পর সব স্বাভাবিকই ছিল। আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই বড় হয়ে উঠছিল জগন্নাথ। কিন্তু সামান্য সর্দি-কাশী আর জ্বর থেকে যে শরীরে এমন মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে, কল্পনাও করতে পারেননি তার বাবা-মা। সাধারণ জ্বর ভেবে প্রথমে বাড়িতেই ছেলের দেখভাল করছিলেন জগন্নাথের মা। কিন্তু কিছুতেই জ্বর কমেনি। তার সঙ্গেই ধীরে ধীরে জগন্নাথের ঘাড় ফুলতে শুরু করে। তখনই যেন মায়ের মন কু ডেকেছিল। বুঝেছিলেন, নিজেদের শুশ্রূষায় কাজ হবে না। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ারও জো ছিল না। মাসিক ৪০০০ টাকা আয়ে কৃষক পরিবারের কোনওক্রমে দিন গুজরান হয়। তবে তা বলে তো ছেলের রোগকেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাই টাকা জমাতে শুরু করেন তাঁরা। আর দিনের পর দিন আরও করুণ হতে থাকে জগন্নাথের শারীরিক অবস্থা। খিঁচুনি ধরতে শুরু করে।
আর দেরি না করে জগন্নাথকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে ছোটেন মা-বাবা। ছেলের কী হয়েছে, তখনও অজানা। নানা টেস্ট করে চিকিৎসকরা জানান, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত জগন্নাথ। কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। কীভাবে রক্ষা করবেন এই ছোট্ট প্রাণটি? কোথা থেকে আসবে ওর চিকিৎসার খরচ? ভেবে কূল পান না। জগন্নাথের শরীরকে ক্যানসার এমনভাবে গ্রাস করেছে যে কেমোথেরাপিতেও কোনও ইতিবাচক ফল মেলেনি। ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় নেই। যার খরচ ২৭ লক্ষ ১১ হাজার টাকা।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
ছেলের চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই সঞ্চয়ের সর্বস্ব চলে গিয়েছে। ধার দেনা করেও প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে পারেনি এই কৃষক পরিবার। তাই তাঁরা আজ আপনার কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইছেন। আর্থিক সাহায্য করে জগন্নাথকে বাঁচাতে পারেন আপনিই। যথাসাধ্য সাহায্যেই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অংশীদার হতে পারেন। প্রকৃত মানুষ হিসেবে এই দরিদ্র, অসহায়, দিশেহারা বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াবেন তো? মায়ের কোল খালি হতে দেবেন না তো?
জগন্নাথের অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি মেডিক্যাল দল। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও রয়েছে। অনুদানের আগে আপনিও চাইলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন। কিংবা মেডিক্যাল টিমের আয়োজকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
অনুদানের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.