Advertisement
Advertisement

প্রতি বছর ভারতে ২৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব, কীভাবে জানেন?

বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবসের আগে এই বিষয়ে জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা৷

24 Lakhs people may survive in India with the proper treatment
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 14, 2019 9:13 am
  • Updated:September 14, 2019 9:14 am  

গৌতম ব্রহ্ম: সময়মতো চিকিৎসা হলে ভারতে প্রতি বছর ২৪ লক্ষ মৃত্যু ঠেকানো যেত। দুশ্চিন্তার বিষয় হল, এই হতভাগ্যদের মধ্যে ১৬ লক্ষ মানুষ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ওষুধও খেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্যব্যবস্থার মান ভাল হলে এই মানুষগুলোকে বাঁচানো যেত। বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবসের আগে এমনই আক্ষেপ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। তাও আবার আন্তর্জাতিক রোগী সুরক্ষা সম্মেলনের রাজসভায়।

[ আরও পড়ুন: খিদের পেটে ইনস্ট্যান্ট নুডলস? সাবধান, অচিরেই ডেকে আনবে বিপদ ]

Advertisement

১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস। সেই উপলক্ষে হায়দরাবাদে শুক্রবার শুরু হয় আন্তর্জাতিক রোগী সুরক্ষা সম্মেলন, ২০১৯। সেখানে এ দেশের রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখেন হু-এর কেন্দ্রীয় আধিকারিক, ডাঃ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া। তিনি স্পষ্ট জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান ভাল হলে ভারতে ১৬ লক্ষ মৃত্যু এড়ানো যেত। এই ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারকেই ভাবতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিধি বাড়ালেই হবে না, গুণগত মানও বাড়াতে হবে। সরকারের উচিত, রোগী সুরক্ষার
বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। এবং প্রতিবছর তার মূল্যায়ন করা। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েও কেন এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে? চন্দ্রকান্তবাবুর পর্যবেক্ষণ, ‘‘রোগীদের অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয় ও ভুল ওষুধ দেওয়ার জন্য বহু ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, হু আগামী পাঁচ বছরে ওষুধের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার কথা বলেছে। ভুল ওষুধ সবসময় যে ইচ্ছাকৃত দেওয়া হচ্ছে, তা নয়। আসলে, সরকারি ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুরা সময় নিয়ে
রোগী দেখতে পারছেন না। এতটাই চাপ রোগীদের। ঠিকমতো কেস হিস্ট্রি না নেওয়ায় রোগ নির্ণয়ও হচ্ছে না। আবার অনেক সময় ডাক্তারবাবুদের হাতের লেখা বুঝতে পারছেন না ফার্মাসিস্টরা।’’

[ আরও পড়ুন: নিমেষে ফর্সা হতে চান? মুশকিল আসান করুন এইভাবেই ]

চন্দ্রকান্তবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন করেন উপস্থিত ডাক্তারবাবুরা। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় অংশ নেন এনএইচএসআরসি-এর উপদেষ্টা ডাঃ জে এন শ্রীবাস্তব, এনআইএইচএফডব্লু-র ডিরেক্টর জে কে দাস-সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ ইন্দ্র প্রকাশ। অঙ্গদান এবং লিঙ্গ নির্ধারণের বেনিয়ম নিয়েও সরব হন বক্তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement