সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরম পড়তে না পড়তেই গায়ের মধ্যে শুরু হয়েছে চিড়বিড়ানি। হ্যাঁ, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাত পায়ের ত্বকও তাল মিলিয়ে শুষ্ক হয়ে উঠছে? সবে শীতকালের ময়শ্চার মাখার সময়টা ফুরিয়েছে তার পরপরই এহেন উৎপাতে আপনি তিতিবিরক্ত ? তবে সমস্যা ভেবে হাত গুটিয়ে থাকলে তো আর হবে না। সমাধানও খুঁজে পেতে হবে। গরমের বাজারেও ত্বককে নমনীয় ও আকর্ষণীয় রাখতে গেলে কি কি করা আবশ্যক, চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক।
বলা বাহুল্য, গরমে রোদ্দুরে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গরমের আতিশয্যে অনেক সময়ই ফুলহাতা পোশাক পরতে ইচ্ছে করে না। তেমনই ছাতা, রোদচশমাও মাঝে মাঝে বোঝা মনে হতে পারে। আর যখনই এই অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলিকে বোঝা ভাবতে শুরু করলেন, তখনই বারোটা বেজে গেল আপনার কোমল ত্বকের। সেই ত্বক যা একদা ২৫ পেরিয়েও ষোড়শীর আকর্ষণে সবার চোখ টানত। যে ত্বকের দিকে তাকালে একটা সময় দৃষ্টিও পিছলে যেত, সেই ত্বকই এখন লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে মুখ লুকিয়ে থাকলে সমস্যাও থাকবে না, তাতো নয়। তাই সমাধান খোঁজা আবশ্যক।
এমনিতেই প্রকৃতি আমাদের শরীরে ময়শ্চারের বন্দোবস্ত করেই পৃথিবীতে পাঠায়। সেই সহজাত ময়শ্চার যদি বিপন্ন হয় তাহলে জীবনও বিপন্ন হতে বাধ্য। কী সেই ময়শ্চার? তা হল জল। গরমকালে ঘামের কারণে যেমন জলের পরিমাণ দ্রুত কমতে থাকে, তেমনি শুষ্ক গরমেও জলের পরিমাণ কমে যায়। এর জেরে বারবার জল খাওয়ার একটা প্রবণতা বাড়তে থাকে। দিনে অন্তত সাত থেকে আট গ্লাস জল খেলে জলাভাবের সমস্যা কাটতে পারে। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে অথচ তা পূরণের চেষ্টা করছেন না। এমন চলতে থাকলে খুব তাড়াতড়ি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। একই সঙ্গে স্বাভাবিক নমনীয়তা হারিয়ে আপনার ত্বকও অকালেই বুড়িয়ে যাবে। তাই গরমকালে পর্যাপ্ত জল খান। সেই সঙ্গে জলের অভাব মেটাতে মরশুমের ফলের রস, অ্যালোভেরার রস পান করুন। আঙুর, শশা, জাম, জামরুল, আনারস, আপেল, লাল ক্যাপসিকাম খান। ডায়েটে এই ফলগুলো রাখলে শরীরে জলীয়দ্রবণের সমতা বজায় থাকবে। ত্বকও থাকবে সজীব। তাই ভ্যাপসা গরমে শরীরকে সতেজ রাখতে ফল ও জল খান সম পরিমাণে। পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া গরম থাকলেও ভিতর থেকে আপনি ঠান্ডা থাকবেন। শরীর থাকবে সুস্থ।
একই সঙ্গে গরমে ত্বককে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। কম রাসায়নিক যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ইউভিএ ও ইউভিবি থেকে বাঁচতে এসপিএফ-৩০ এর বেশি সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। দিনের বেলা বাইরে বের হলে চার ঘণ্টা অন্তর নতুন করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। শরীরে জলীয় দ্রবণের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে গ্রিন-টি ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন-টিতে বড়মাপের কুলিং পাওয়ার রয়েছে। গরমকালে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে রাখতে হলে গ্রিন-টি ত্বককে টানটান রাখে। গরমে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা পূরণ করতে সিদ্ধহস্ত গ্রিন-টি। জলের সঙ্গে গুড়ো করা চিনি ও গ্রিন-টি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান। স্ক্র্যাবারের কাজ করে এই মিশ্রণ। নিয়মিত ব্যবহারে অভাবনীয় ফল পাবেন। ত্বকের আনইভেন স্কিন টোনের সমস্যা থেকে বাঁচতে দারুণ উপকারী এই ঘরোয়া স্ক্র্যাবার। একই সঙ্গে ত্বকের কালো কালো ছোপ ভাব দূর করে সঙ্গে সঙ্গেই একটা গ্লো নিয়ে আসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.