রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: গরম জলে উন্নত মানের চা পাতা ভিজিয়ে তাতে লেবু ও বরফ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘আইস টি’। ভাবছেন তো, এ আর এমন কী? কিন্তু আর পাঁচ জায়গায় চা তৈরি এবং চায়ের (Tea) স্বাদের সঙ্গে পার্থক্য ‘টি লাউঞ্জে’র চায়ের। একেবারে বাগান থেকে তুলে আনা পাতা দিয়ে তৈরি চায়ের সঙ্গে আপনি পেয়ে যেতে পারেন চা গাছের কচি ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ কুচি কুচি করে কেটে তৈরি করা ‘টি লিফ পকোড়া’ও। চা প্রেমীদের জন্য দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগেই নানা জাতের স্ন্যাকস, চা নিয়ে যাত্রা শুরু করল ‘ডাবরি টি লাউঞ্জ’।
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহর লাগোয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মাঝের ডাবরি চা বাগান ঘেঁষে এই টি লাউঞ্জের উদ্বোধন হয়েছে সদ্য। করল মাঝের ডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গে আইস টি-সহ ৩৬ রকমের চা এবং টি লিফ (Tea leaf) পকোড়া দ্বিতীয় কোনও ঠিকানা নেই বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। রকমারি স্বাদ-গন্ধ ও দামের চা ছাড়া ম্যাগি, নুডলস, পাস্তা-সহ নানা জাতের খাবারও এখানে মিলবে। সংস্থার ডিরেক্টর মহেন্দ্র আগরয়াল বলেন, “চা বাগান থেকে একেবারে খাবারের টেবিলে আমরা ফ্রেশ চা ও তার সঙ্গে স্পেশাল কিছু স্ন্যাকস পরিবেশন করতে চাইছি। আমাদের ৩৬ রকমের চা এখানে পাওয়া যাবে। মানুষেরা চাইলে এখান থেকে আমাদের তৈরি চা পাতা কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। গোটা দেশে এই উদ্যোগ প্রথম। সফল হলে আমরা দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একই জাতীয় লাউঞ্চ শুরু করব।”
জানা গিয়েছে, লন্ডন এমবিএ (MBA) করার পর দিল্লির তাজ হোটেলে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখানে চা বানাতে এসেছেন খুশবু আগরওয়াল। মাঝের ডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, “মাত্র দু বিঘা জমিতে আমরা এই লাউঞ্জ তৈরি করেছি। চা ও স্ন্যাকসের দাম একেবারে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। জাতীয় সড়কের ধারে এই লাউঞ্জ। এখানে বিশ্বমানের ফ্রেশরুম তৈরি করেছি আমরা। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। স্বাস্থ্যকর চা ও স্ন্যাকসের আরেকটি নাম ডাবরি টি লাউঞ্জ।”
নীল চা, গোলাপ চায়ের পর ‘ফুল মুন টি’ তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিল ডুয়ার্সের (Dooars) মাঝের ডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এবার ‘আইস টি’ আর ‘টি লিফ পকোড়া’ নিয়ে টি লাউঞ্জ দিয়ে চা প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণের নয়া উদ্যোগ নিল মাঝের ডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.