অভিরূপ দাস: বছরে মাথাপিছু সাতশো গ্রাম চা (Tea) খেত বাঙালি। এখন তা আটশো সাতান্ন গ্রাম। করোনার (Covid) পর থেকে বেড়ে গিয়েছে চা খাওয়া। কোভিডে গলা খুসখুস, সর্দি-কাশি গা সওয়া ছিল। চা সেখানে উপশমের কাজ করেছে। ঘরবন্দি বাঙালি চুমুক দিয়েছে ঘনঘন। তবে এরপরেও গা ছাড়া মনোভাব দিতে রাজি নয় কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (Confederation of Indian Small Tea Growers Association) সদস্যরা। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর কথায়, আঠারো থেকে পঁচিশ এই বয়সসীমার মধ্যে এখনও চা খাওয়ার প্রচলন অতটা নেই। তারা বরং শীতল পানীয় কফিতেই মজে। এঁদের আরও বেশি করে চা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
আটশো সাতান্ন গ্রাম নশোর গণ্ডি ছুঁলেই আরও চাঙ্গা হবে চা বাজার। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন আর সলিড্যারিডাড যৌথভাবে সেই ব্যবস্থা করছে। ইন্টারন্যাশনাল স্মল টি গ্রোয়ার্স কনভেনশনে হাজির ছিলেন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন নয়নতারা পাল চৌধুরী। তাঁর কথায়, স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এবার থেকে চায়ের বাক্সে থাকবে একটি কিউআর কোড। মোবাইল সেই কোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে কোন বাগানের চা। কত তাপমাত্রায়, কী প্রক্রিয়ায় তা তৈরি করা হয়েছে। সলিড্যারিডাড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, মিষ্টি কেনার সময় ক্রেতা যেমন নিজে ঠিক করেন কোন দোকানের মিষ্টি কিনবেন। এবার চা কেনার সময়ও তেমনটাই হবে।
শুক্রবার শহরের পাঁচতারা এক হোটেলে হাজির ছিলেন শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ, নেপালের ছোট চা বাগানের প্রতিনিধিরাও। হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, ভারতীয় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি। ছোট চা বাগানের সমস্যা অগুনতি। বৃহৎ পুঁজির বড় চা বাগানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে না ছোট চা বাগানগুলি। অথচ তারা না থাকলে সস্তায় চা পেত না নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তরা।
দেশের মোট উৎপাদিত চায়ের পঞ্চাশ শতাংশই আসে ছোট চা বাগান থেকে। ছোট চা বাগানগুলির কথা ভেবে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন এবং সলিড্যারিডাড ২০১৯ সাল থেকে যৌথভাবে শুরু করেছে এক অনুষ্ঠান। পদক্ষেপের নাম ট্রিনিটি। বাংলার প্রায় ৫০ হাজার চা শ্রমিককে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.