সুলয়া সিংহ: রান্নার গন্ধে মিলেমিশে গেল গঙ্গা আর পদ্মাপাড়ের স্বাদ। ‘মাছ,মছলি অ্যান্ড মোর’ মিটিয়ে দিল সমস্ত দূরত্ব। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পদ্মাপাড়ের স্বাদ এবার খোদ কলকাতায় (Kolkata)। বৃহস্পতিবার ‘বাংলার রসনা’ নামে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পদ নিয়ে খাদ্য উৎসবের (Food Festival) সূচনা করে দিলেন রসনাপ্রেমী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র, জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ক্যাকটাসে’র গায়ক সিধু, কৌশিক চৌধুরী, মাছ,মাছলি অ্যান্ড মোরের কর্ণধার, শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা।
জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার খাদ্য উৎসব চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিশেষভাবে জিভে পরিতৃপ্তি দেবে মাছের রকমারি পদ। কিন্তু কোথায় গেলে জিভে জল আনা লোভনীয় পদগুলি চাখার সুযোগ পাবেন? ঠিকানা তবে বলে দেওয়াই যাক। ৩৭, পূর্ণদাস রোডে ভোজন রসিকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ‘মাছ,মছলি অ্য়ান্ড মোর’। ১৯ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি – এই ক’দিন ধরে চলবে বিশেষ খাবারের উৎসব। বৃহস্পতিবার বাংলা গান, সঙ্গে হালকা পেটপুজো দিয়ে শুরু হয় এবারের একুশের উদযাপন।
মাছ, মছলি অ্যান্ড মোরের কর্ণধার কৌশিক চৌধুরী জানালেন, “বাংলাদেশের কিছু বিশেষ নিরামিষ,আমিষ পদ নিয়েই এই আয়োজন। মূলত মাছের (Fish) হরেক রকম পদ নিয়ে কাজ করব বলেই এমন একটা নামকরণ করেছি। কথায় আছে – মাছে ভাতে বাঙালি।পরে আরও কিছু ব্যবস্থা বাড়ানো হবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। যাঁরা মাছ খেতে ভালবাসেন, তাদের জন্য আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।”
এই উৎসবে যোগ দিতে এসে বেশ খুশি লোপামুদ্রা মিত্র এবং সিধু। মেনুতে নিরামিষ,আমিষ পদ তো আছেই। বিশেষভাবে তৈরি কাঁচকি মাছের বড়া, শোল মাছ পোড়া, কই মাছের হরগৌরি, মুরগির জালি কাবাব, বুরহানি, কাঁচকলার কোপ্তা, ছানার ডালনা – এসব কিন্তু মিস করবেন না ভুলেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.