নব্যেন্দু হাজরা: ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। প্রিয় দলের জার্সি, পতাকা থেকে খেলোয়াড়দের ছবি, দেদার বিকোচ্ছে সবকিছু। আর এবার বিশ্বকাপের (World Cup Football 2022) আঁচ এসে পড়ল মিষ্টির দোকানেও। ব্রাজিল রসগোল্লা (Brazil Rasogolla) থেকে আর্জেন্টিনা সন্দেশ (Argentina Sandesh)। ছানার বিশ্বকাপ থেকে মেসি-রোনাল্ডোর আদলে তৈরি মিষ্টি থরে থরে সাজছে সোকেসে। খেলা যত এগোবে মিষ্টির বৈচিত্র ততই বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
নিত্য নতুন আইডিয়াতে তাই তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে মূলত বিক্রি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। কারণ, সেই সময় প্রিয় দল জিতলে মিষ্টি বিকোনো শুরু হয়। ফলে প্রচুর বিক্রি হয় বিশ্বকাপ স্পেশাল মিষ্টি। যে দলের খেলা থাকে সেই দলের পতাকার রঙে রসগোল্লা, সন্দেশ তৈরি করেন দোকানদাররাও। শনিবার মেসি এবং রোনাল্ডোর ক্ষীরের সন্দেশ তৈরি করেছে কলকাতার অভিজাত মিষ্টির দোকান বলরাম মল্লিক এবং রাধারমন মল্লিক। তাছাড়াও সেখানে ব্রাজিল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা-সহ বিভিন্ন দেশের পতাকার রঙে তৈরি হয়েছে সন্দেশ।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আরও ভাবনা চলছে নতুন কী বানানো যায় তা নিয়ে। বানানো হয়েছে বিশ্বকাপ সন্দেশও। মালিক সুদীপ মল্লিক বলেন, ‘‘মেসি, রোনাল্ডোর সন্দেশ শুধু ভবানীপুরের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের পতাকার রঙে সন্দেশ বানানো হয়েছে বিশ্বকাপ উপলক্ষে। আরও নিত্যনতুন মিষ্টি তৈরি হবে।’’ বিশ্বকাপ সন্দেশ বানিয়েছে মিঠাইও। এখনও অন্যান্য মিষ্টি তেমন বানানো হয়নি বলেই জানান সংস্থার কর্ণধার নীলাঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত বিশ্বকাপের আদলে একরকমেরই সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে।’’
২২ তারিখ থেকে হিন্দুস্তান সুইটসও নামছে বিশ্বকাপের আসরে। ফুটবলের মাধ্যমে সমস্ত দেশকে একসঙ্গে বাধা হচ্ছে। সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হবে এই মিষ্টির মাধ্যমে। সংস্থার কর্ণধার রবীন্দ্রকুমার পাল বলেন, ‘‘ফাইনালের আগে আরও নানা ধরনের মিষ্টি বানানো হবে। আপাতত সব দেশকে নিয়ে একটা মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছে।’’ এসব থেকে এখনও নিজেদের দূরে রাখছে কে সি দাস। তাঁরা এখনই কিছু বানাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন, সংস্থার কর্তা ধীমানচন্দ্র দাস। যদিও জানিয়েছেন, আগামীদিনে তা বানালেও বানানো হতে পারে। হাওড়ার ব্যাতাই মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অবশ্য বিশ্বকাপ উপলক্ষে অনেক ধরনের মিষ্টিই নিয়ে আসছে তবে তা আরও কিছুদিন পর থেকে। একটা ছোট আর একটা বড় ওয়ার্ল্ড কাপ সন্দেশ বানানো হচ্ছে তাদের দোকানে।
ছোটটার দাম ৪০ টাকা। আর বড়টার ২৫০ টাকা। আরও কিছুদিন পর থেকে বিশ্বকাপ খেলা বাকি দেশের জার্সির রংয়ের রসগোল্লাও বানানো হবে। যেগুলোর দাম হবে ১৫ টাকা। দোকানের মালিক সৈকত পাল বলেন, ‘‘অন্যান্য বারও আমরা বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানিয়ে থাকি। যত শেষের দিকে যায় ততই বাড়ে চাহিদা।’’ চন্দননগরের সূর্য মোদকের কর্ণধার শৈবাল মোদক বলেন, ‘‘এখন বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে। তাই প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই আমরা ভাবার সময় পাইনি। খেলা এগোলে আমরাও বানাব।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.