সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোকানে-বাজারে হালখাতার ভিড়, হাতে মিষ্টির হাঁড়ি আর বাংলা ক্যালেন্ডার। নতুন জামা গায়ে চাপিয়ে রেস্তরাঁ কিংবা সিনেমা হলে ঢুঁ মারা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বসে দেদার আড্ডা। এককথায় একদিনের জন্য পুরোদস্তুর বাঙালি হয়ে ওঠা। এভাবেই প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ কাটিয়ে অভ্যস্ত বাঙালি। কিন্তু চেনা এই চিত্রটাই গত বছর থেকে পালটে গিয়েছে করোনার (Corona Virus) কারণে। কিন্তু বাঙালি হাল ছাড়ার পাত্র কিংবা পাত্রি নন। জীবনের নতুন ছন্দকেও অতি সাবধানে আপন করে নিতে শিখছে।
পয়লা বৈশাখ (Poila Boishakh) বলে কথা! গোটা দিনটাকে তো আর বাড়িতে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় না! আবার আনন্দ করতে হলে সবসময় ভিড়ের মধ্যে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। কোনও ভাল রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু পয়লা বৈশাখ তো এসেই গেল। কোথায় যাবেন ঠিক করেছেন? আচ্ছা কোথাও গিয়ে যদি কাসুন্দি ম্যারিনেটেড ফ্রায়েড ফিশ (Kasundi Marinated Fried Fish) গরম গরম পেয়ে যান। তার সঙ্গে যদি আবার ‘লাচ্ছা দই অনিয়ন’ থাকে তাহলে? আবার মুচমুচে ‘চিংড়ি চিজ চুরমুর’ (Chingri Cheese Churmur) যদি আপনার পাতে স্টার্টার হিসেবে সাজানো থাকে। যাতে চিজ আর কর্নফ্লেক্সের কোট দেওয়া যাবে। তাহলে কী করবেন? অবশ্যই ভূরিভোজে পয়লা বৈশাখের পরমানন্দ উপভোগ করবেন। তাই তো এমনই ফিউশন খাবারের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষায় দক্ষিণ কলকাতার ‘লর্ড অফ দ্য ড্রিঙ্কস’ (Lord of the Drinks) রেস্তরাঁ।
সাউথ সিটি মলের ৪ তলায় রয়েছে এই রেস্তরা। যেখানে পয়লা বৈশাখের অবসরে হচ্ছে বাঙালি খাবারের উৎসব। ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাত, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি, সরষে ইলিশ থেকে কষা মাংসের মতো সাবেকি স্বাদ এখানে অবশ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি থাকছে তন্দুরি বেবি ভেটকি, মোচার ক্রকেট, গন্ধরাজ মালাই ফিশ টিক্কার মতো ফিউশন খাবার। পাশাপাশি মিলবে রসমালাই পান্না কোটার মতো মিষ্টি ডেজার্ট আর অবশ্যই পছন্দের পানীয়। সোমবার থেকে রবিবার বেলা বারোটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে স্বাদের এই ঠিকানা। দুই জনের খাওয়ার জন্য খরচ হবে প্রায় ১৮০০ টাকা। এর মধ্যেই পানীয়র বন্দোবস্ত হয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.