ছবি: উদয়ন গুহ রায়
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ‘মাছেভাতে বাঙালি’। না, শুধু কথার কথা নয়। গুনে গুনে ২১ রকমের মাছ আম আদমিকে খাইয়ে অভিনবভাবে এই প্রবাদকে মান্যতা দিল দুর্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাও সম্পূ্র্ণ বিনামূল্যে। নতুন প্রজন্মের মাছের প্রতি অনীহা আছে। ‘ফাস্ট ফুড’ ভক্ত এই প্রজন্মকে মৎসবিলাসী করতেই ‘দুর্গাপুর আলো ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র এই অভিনব উদ্যোগ। আয়োজিত হল ‘মৎস্য মেলা’।
রবিবার ছুটির দিনে দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাত নগরীর হর্ষবর্ধন এভিনিউয়ের মডার্ন বয়েজ ক্লাবের মাঠে এই ‘মৎস্য মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৪টি স্টলে সাজানো হয় রান্না করা মাছের সুস্বাদু পদ। কী মাছ নেই এই মেলায়? সমুদ্র, খাল, বিল, পুকুর — সমস্তরকম জলের মাছের সম্ভার হাজির করা হয়।
কোকিলা, আমুদি, ভোলা, ভেটকি, পমফ্রেট, খয়রা, কার্তি, পারশে, কাজলি, বাছা, ট্যাংরা, শুটকি, রুই, কাতলা, মৃগেল ছাড়াও মাছের রাজা ইলিশের রকমারি পদ। সঙ্গে মুড়ি ঘণ্ট। নাম মাত্র মূল্যে ভাত কিনে প্লেটে রকমারি মাছ তুলে সেই স্বাদ নিতে মেলা শুরুর আগে থেকেই আট থেকে আশির লম্বা লাইন। মেলা প্রাঙ্গনেই প্লেট ভরতি রকমারি মাছ নিয়ে বসে খেতে শুরু করে দেন উৎসাহী মানুষ।
এদিন এই মেলার উদ্বোধন করেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তিনিও হতবাক মাছের এই বিপুল আয়োজন দেখে। ডায়মন্ডহারবার ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আনা হয়েছে প্রায় ১ কুইন্টাল মাছ। রান্নার জন্যে ওড়িশা থেকে আনা হয় ১২ জনের একটি দল। ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র অন্যতম উদ্যোক্তা প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লব নাগ জানান, “এই প্রজন্মকে মাছ-মুখী করতেই এই উদ্যোগ। মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। মাছের তেল, কাঁটাতেও অজস্র পুষ্টিগুণ রয়েছে।” রকমারি মাছের স্বাদ নিতে আসানসোল, দুর্গাপুরের মানুষ প্রায় হামলে পড়ে এই মেলায়।
দেখুন ভিডিও –
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.