Advertisement
Advertisement

Breaking News

Millet

স্বাদে নতুনত্ব আনবে বাজরার মোমো, জোয়ারের লাড্ডু! পুরসভার মেলায় নয়া রেসিপি

ছোটদের স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করাতেই পুর-মেলায় হয়ে গেল রান্নার ক্লাস।

Millet foods like Bajra momo and jowar laddu available in KMC fair
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 20, 2025 7:19 pm
  • Updated:March 20, 2025 7:23 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: পুরসভার রান্নায় ক্লাসে নতুন নতুন ক্ শেখানো হল বাজরার মোমো, জোয়ারের লাড্ডুর রেসিপি। পিৎজা, চটজলদি নুডলস, পেস্ট্রি নয়, স্কুলের টিফিনে থাকুক এই ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার। চটজলদি কীভাবে তা বানানো যায় ঘরে, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর, খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ আয়োজিত মিলেট মেলায় অভিভাবকদের তা হাতে-কলমে শেখালেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

পেস্ট্রি-প্যাটিস-ফ্রায়েড চিকেন খাওয়ার অভ্যাস বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা অসুখ। বুধবার মিলেট মেলায়, ফুড সেফটি কমিশনার তপনকান্তি রুদ্র জানিয়েছেন, ফাস্ট ফুডের দৌরাত্ম্যে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা দেখা দিয়েছে বাংলার ঘরে-ঘরে। খুদেদের সচেতনতা পাঠ শুরু হল বাজরার মোমো দিয়ে। এদিন দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে মিলেট মেলায় হাজির ছিল লেক ভিউ গার্লস, কমলা গার্লসের ছাত্রীরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করালেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। বলা হল, “ফাস্ট ফুড নয়, টিফিনে নাও জোয়ার-বাজরা-রাগি-ডালিয়ার হরেক খাবার।”

Advertisement

সারা দেশের সঙ্গে ডায়াবেটিস ক্রমশ বাড়ছে বাংলায়। এদিন ফুড সেফটি কমিশনার তপনকান্তি রুদ্রর মতে, পঞ্চাশ বছর আগে মানুষ কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ে চিন্তিত ছিল। অর্থাৎ কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো অসুখের বাড়বাড়ন্ত ছিল। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। কিন্তু ফাস্ট ফুডের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল অসুখের মতো নন কমিউনিকেবল ডিজিজ। চিন্তার বিষয়, দেশে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ফাস্ট ফুড, রাসায়নিক সারের সবজি। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা এদিন জানিয়েছেন, “সচেতন হওয়ার সময় চলে এসেছে। সময় এসেছে ট্র্যাডিশনাল খাবারের দিকে ফিরে যাওয়ার।”

এদিন দশটি স্বনির্ভর প্রকল্পের মহিলা হাজির ছিলেন জোয়ার, বাজরা, রাগি, ডালিয়া, সাবুর নানা খাবারের তালিকা নিয়ে। সাবুর পায়েস, ডালিয়ার পোলাও, জোয়ারের মোমো, বাজরার পাটিসাপটা ছিল সে তালিকায়। খুদেদের নিয়ে এসে অভিভাবকরা বলেছেন, “দারুণ খেতে। কী করে বানায়, জানি না।” তাদের রান্নার রেসিপি শিখিয়ে দিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায়চৌধুরী, খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ডাক্তার তরুণ সাফুই, ডাক্তার বিভাকর ভট্টাচার্য, যুগ্ম ফুড সেফটি কমিশনার অমিতাভ দত্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement