সুমিত বিশ্বাস: ছট মানেই উৎসবপ্রেমী আর ভোজনরসিক মানুষজনের কাছে ঠেকুয়া। এই একটি পদের মধ্যে দিয়েই বিহারি সম্প্রদায়ের বড় উৎসবটির সঙ্গে আমবাঙালির সম্পর্ক। কিন্তু খাদ্যরসিকরা বাঙালির কাছে জিভে জল আনা যে কোনও খাবারই আর নিছক উৎসবের মরশুমে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই বছরের যে কোনও সময়ে নিজে হাতে ঠেকুয়া কীভাবে বানাবেন, তার রেসিপি জেনে নিন।
কীভাবে বানাবেন ছট স্পেশাল এই ঠেকুয়া?
ছোট একটা পাত্রে তিন কাপ আটা নিন। যোগ করুন হাফ কাপ সুজি। তবে সুজি ছাড়াও ঠেকুয়া বানানো যায়। কিন্তু সুজি ব্যবহার করলে মুচমুচে–কড়কড়ে হয়। সেই সঙ্গে অর্ধেক কাপ চিনি।তা অবশ্য গুঁড়ো করে নিতে হবে। দানা থাকলে তা যেমন মুখে লাগবে, তেলে ভাজার পর সেই চিনি শুধু কালো হয়ে যাবে তা নয়। তিতকুটেও লাগে। তাই মিক্সিতে গুঁড়ো করে নেওয়াই ভাল। সেই সঙ্গে দু’চামচ মৌরি।
এরপর ড্রাই ফ্রুট হিসাবে কুচিয়ে রাখা নারকেল, কাজু, কিসমিস দিতে হবে। দিতে হবে সামান্য এলাচ গুঁড়োও। সেইসঙ্গে একচামচ ঘি ও দু’চামচ সাদা তেল। এই সাদা তেল ছাড়া শুধু ঘিও ব্যবহার করা যায়। ঠেকুয়া বানাতে ঘি–র ব্যবহার ভীষনই গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন মত ঘি না দিলে তা ভাজতে গেলে সমস্যা হবে। বেশি হলে তা ভেঙে যাবে, তেমনই কম হলে খাস্তা হবে না।
এই সব নানান উপকরণ প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে প্রায় একসঙ্গে মেশাতে হবে। ঝুরঝুরে হলে তা হাতে চ্যাপ্টা করে একটা আকৃতি এলে তবেই বোঝা যাবে মেশানোটা ভালভাবে হয়েছে। এবার এই নানান উপকরনে ওই মিশ্রিতকে দুধ দিয়ে অল্প অল্প করে মাখতে হবে। যাতে নরম না হয়ে যায়। খুব শক্ত একটি পিন্ড করতে হবে। ওই মিশ্রিত এই উপকরণকে শক্ত পিন্ড অবস্থায় আনতে প্রায় এক কাপ দুধের প্রয়োজন হয়।
ওই পিন্ড ১৫ মিনিট ঢেকে রেখে তা ভাজতে হবে। তবে তার আগে হাতে ঘি নিয়ে দু’হাতের সাহায্যে চ্যাপ্টা আকৃতি দিতে হবে। তবে তা যাতে খুব বেশি পাতলা
বা মোটা না হয়ে যায়, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
সুন্দর করে ঠেকুয়ার আকৃতি গড়তে ছাঁচ ব্যবহার করা যায়। ছাঁচ না থাকলেও ওই চ্যাপ্টা আকৃতির উপর কাঁটা চামচ দিয়ে ডিজাইন করা যেতেই পারে। এরপর
কড়াই–এ সাদা তেল গরম করে তা ভাজতে হবে। তবে তেল খুব বেশি গরম করা যাবে না। আঁচ কমিয়ে দিয়ে তা কড়াই–এ ছাড়তে হবে। তারপর মিডিয়াম টু লো আঁচে ভাজা প্রয়োজন। যাতে মাঝখানে কাঁচা না থাকে। দু’মিনিট করে উলটেপালটে তা ভাজতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ছটের রসনা তৃপ্তিতে বিশেষ পদ ঠেকুয়া।
ছবি: সুনীতা সিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.