অর্ক দে, বর্ধমান: একটা সময় তীব্র গরমে বাড়িরে পা রাখলে ঠান্ডা পানীয়ে (Cold Drink) গলা ভেজানো যেন ‘মাস্ট’ ছিল। সময় বদলেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। এখনকার প্রজন্ম তাপ প্রবাহের হাত রেখে স্বস্তি পেতে কেউ গলায় ঢালছেন ম্যাঙ্গো জুস, কেউ মিক্সড ফ্রুট জুস (Fruit juice)। বর্ধমান শহরে এবারের মরশুমে দেদার বিকোচ্ছে ফ্রুট জুস। এই সময় চিকিৎসকরাও পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন রসালো ফল খেতে। এবারের গরমে বিভিন্ন স্বাদের তরমুজেও মজেছে বর্ধমান (Burdwan)। সাধারণ তরমুজেই মিলছে স্ট্রবেরি, আনারসের ফ্লেভার। আবার লাল শাঁসের তরমুজের সঙ্গে সঙ্গে হলুদ বা সবুজ রঙের শাঁসযুক্ত তরমুজও এবারের গরমে ‘হিট’ করেছে। যা স্থানীয় চাষিরাই উৎপাদন করছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহ (Heat Wave)চলছে পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লস্যি, ফ্রুট জুসের বিক্রি। তরমুজ ও শসা জাতীয় ফলের বিক্রিও বেড়েছে বর্ধমানের বাজারে। শহরের জেলখানা মোড়, তিনকোনিয়া, কার্জন গেট, বড়বাজার এলাকায় আগে থেকেই লস্যি, জুসের দোকান ছিল। এবার শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় লস্যি, জুসের নতুন নতুন দোকান গজিয়ে উঠেছে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। বেড়েছে বিক্রিবাটাও।
ম্যাঙ্গো জুস বিক্রেতা রাম দাস বলছেন, “গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি হচ্ছে। আগে লোকে কোল্ড ড্রিঙ্কস বেশি পছন্দ করতো। এখন জুস খাচ্ছে। গরম বাড়ায় জুসই বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা।” আর এক লস্যি (Lassi)ও জুস বিক্রেতা সুমন্ত রায় জানান, অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন। কোল্ড ড্রিঙ্কস যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়, এটা অনেকেই এখন বিশ্বাস করছেন ও মেনে নিচ্ছেন। তাঁরা গরমে স্বস্তি পেতে ম্যাঙ্গো জুস খাচ্ছেন। অনেক ডায়াবেটিক রোগী রয়েছেন। তাঁরা চিনি ছাড়া জুস চাইছেন। সম্ভব হলে সেটাও করে দেওয়া হচ্ছে।
শহরের বাজারে এখন তরমুজের বিক্রি বেড়েছে। সাধারণ লাল তরমুজ স্থানীয় চাষিরা কিছুটা জোগান দিচ্ছেন। বাকিটা বাইরে থেকে আসছে। রমজান মাসে রোজা চলছে। সেই কারণে ফলের চাহিদা রয়েছে। আবার তীব্র গরমে তরমুজ খাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। স্বাদ বদলাতে স্ট্রবেরি ও আনারস ফ্লেভারের তরমুজও খাচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় চাষিরাই এই তরমুজ উৎপাদন করছেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.