ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বাঙালির চায়ের (Tea) অভ্যাস বহুদিনের। কবে হল? কীভাবে হল? সেটা তর্কপ্রিয়দের জন্য তোলা থাক।খাদ্যরসিকরা এক কাপ চা পেলেই খুশি। কোথাও দুধ-চা জনপ্রিয়, কোথাও ‘লিকার টি’, কেউ আবার লেবু চায়ে প্রাণ ভরান, কারওবা পছন্দ ‘গ্রিন টি’। কোল্ড কফির মত কোল্ড টি-ও জনপ্রিয় কোথাও কোথাও। কেশর, মালাইয়ের চা, মশলা চায়ের কদরও রয়েছে। অনেকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফুলের সুগন্ধযুক্ত চা। কিন্তু চায়ে চুমুক দিলেই যদি বিয়ার বা স্কচ-হুইস্কির স্বাদ মেলে তবে কেমন হয়? আবার সেই চায়ে চুমুক না দিয়ে কামড় দেওয়ার সুযোগ পেলেই কেমন লাগবে?
হ্যাঁ, শারদোৎসবে সেই সুযোগ এসে গিয়েছে বর্ধমানের ‘ক্যাডি টি বার’। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যুগলবন্দিতে এখানে তৈরি হচ্ছে নানা ফ্লেভারের চা। ‘চকোলেট টি’, ‘বিয়ার টি’, ‘হুইস্কি টি’, ‘ভদকা টি’-র মত ৫৫টি ফ্লেভারের ‘ফিউশন টি’ এখন বর্ধমানবাসীর দোড়গোড়ায়।
পুজোর (Durga Puja 2020) বাজারে হিট নীলপুর এলাকার ‘ক্যাডি টি বার’। বিশ্বের সব প্রান্তের চায়ের স্বাদ মিলছে এখানে। বারের অন্যতম কর্ণধার নীলমাধব রায় জানান, ৬ টাকা থেকে শুরু চায়ের দাম। ১২০ টাকাতেও এক কাপ চা পাওয়া যায়।
পুজোর বাজার সেরে অনেকেই গলা ভেজাতে চান। আবার আড্ডাপ্রিয় বাঙালি চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে ওস্তাদ। এমন অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন বর্ধমান শহরের এই বারে। পুজোয় আবার চায়ের স্পেশ্যাল ফিউশন নিয়ে হাজির হচ্ছে এই বার। তবে তার ফ্লেভার বা রেসিপি গোপন রাখা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে এই নতুন ফ্লেভারের জন্য এখন থেকেই মিলছে বিশেষ কুপন।
যা সংগ্রহ করে রাখলে মিলবে দামে বিশেষ ছাড়। নীলমাধববাবু বলেন, “চা খেতে শুধু সিপ নয়, আমরা চামচে চা তুলে কামড়ে খাওয়ারও সুযোগ করে দিচ্ছি।” অর্থাৎ কামড়ে খান বা চুমুক দিয়ে পান করুন, উস্তাদ জাকির হোসেনের মত ‘বাহ’ বলতেই হবে ‘ফিউশন টি’ মুখে তুলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.