সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও চাই পরোটার সঙ্গে, কারও আবার ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে। একটুখানি দিলেই সুবাসিত হয়ে যায় চারপাশ। ডাল বা হালুয়া বানাতে কিংবা ফ্রায়েড রাইস বা বিরিয়ানিকে আরও সুস্বাদু করে তুলতে ঘিয়ের ব্যবহার ঘরে ঘরে। এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক বেশি। কিন্তু, শিশুর ক্ষেত্রে ঘি (Ghee) কতটা উপকারী?
ঘি-তে পুরোটাই থাকে ফ্যাট, কোনও কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন থাকে না। এক চামচ ঘি প্রায় ১০০-১৫০ ক্যালোরি শক্তির জোগান দেয়। একজন সাধারণ মানুষকে রোজ এক থেকে দেড় চামচ ঘি দেওয়া যায়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে? শিশুরা যবে থেকে শক্ত খাবার খেতে শুরু করবে তবে থেকেই তাঁদের খাবারে ঘি দিতে শুরু করে দিন। অভিজ্ঞরা বলেন, সাত মাসের বাচ্চার খাবারে চার ফোঁটা ঘি মিশিয়ে দিন। আর বাচ্চার এক বছর বয়স হয়ে গেলে তাকে ভার কিংবা ডালের সঙ্গে এক চামচ ঘি মিশিয়ে দিন।
এইটুকু ঘি পেলেই শিশুর শরীর প্রচুর উপকার পাবে। কারণ ঘি হজম শক্তি বাড়ায়। ভাতে মেশালে তা সহজপাচ্য হয়ে যায়। আবার রুটিতে ঘি মাখিয়ে খেলে রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা) কমে যায়। ছাড়া রুটি নরম থাকে ও খেলে হজমও হয় দ্রুত।
ঘিয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ফলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। শিশুদের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে এই এনার্জি প্রচুর প্রয়োজন।পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুর মস্তিষ্কের বিস্তার হয়। এমন সময় ওমেগা ৩ খুবই প্রয়োজন। আর এই উপাদানটি ঘিয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
যে সমস্ত শিশুর কম ওজনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঘি খুবই উপকারী। কারণ এর মেটাবলিজম বেশ হাই। অধিকাংশের ধারণা ঘি শরীর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তা একেবারেই নয়। বরং রিফাইন তেলের চেয়ে ঘি অনের বেশি নিরাপদ। কারণ ঘি-তে যে ফ্যাট উপস্থিত সেই ফ্যাট শরীরে গিয়ে সরাসরি এনার্জিতে পরিণত হয়। খাঁটি ঘিয়ের এমন আরও অনেক ভাল গুণ আছে। তবে বাজার চলতি যে সব ঘি বিক্রি হয় তার কোনটা খাঁটি আর কোনটা ভেজাল তা বুঝে তবেই কেনা উচিত। নচেৎ উপকারের বদলে অপকারও হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.